Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে ৭ গুণ : স্বাস্থ্য অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে। গত জুন মাসের তুলনায় চলতি জুলাই মাসে দেশে সাত গুণেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডেঙ্গু সংক্রমণের এই হার টেনে ধরতে সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কর্মসূচি আরও জোরদার করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে একথা জানান।

তিনি বলেন, দেশে জুন মাসে সর্বমোট ডেঙ্গু রোগী ছিল পাঁচ হাজার ৫৬ জন। সেই তুলনায় জুলাই মাসের আজকের দিন (৩০ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৪২৯ জন। অর্থাৎ জুলাই মাসে জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি রোগী বেড়েছে।

অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, গত মাসের তুলনায় এই মাসে আমাদের রোগী সাত গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট রোগীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি ৬৪ শতাংশ এবং নারী ৩৬ শতাংশ। এছাড়া মধ্যবয়সী যারা তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঢাকায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি।

এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার ভেতরে যে হাসপাতালগুলো রয়েছে, একটিতেই প্রচুর পরিমাণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছে মুগদা হাসপাতালে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা শহরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার ঢাকার বাইরের তুলনায় বেশি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভেতরে যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এরমধ্যে একটিতেই প্রচুর সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন। সেটি হলো মুগদা হাসপাতাল। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকার বাইরের তুলনায় ঢাকা শহরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার একটু বেশি।

হাসপাতাল পরিস্থিতি তুলে ধরে এমআইএস শাখার এই পরিচালক বলেন, বর্তমানে রাজধানীর অনেকগুলো হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীর শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। আর কিছু হাসপাতালে খালি আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরর থেকে সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি ডেঙ্গু রোগীরা যেন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদফতর মানুষকে সচেতন করার জন্য নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে ৭ গুণ : স্বাস্থ্য অধিদফতর

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে। গত জুন মাসের তুলনায় চলতি জুলাই মাসে দেশে সাত গুণেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডেঙ্গু সংক্রমণের এই হার টেনে ধরতে সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কর্মসূচি আরও জোরদার করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে একথা জানান।

তিনি বলেন, দেশে জুন মাসে সর্বমোট ডেঙ্গু রোগী ছিল পাঁচ হাজার ৫৬ জন। সেই তুলনায় জুলাই মাসের আজকের দিন (৩০ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৪২৯ জন। অর্থাৎ জুলাই মাসে জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি রোগী বেড়েছে।

অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, গত মাসের তুলনায় এই মাসে আমাদের রোগী সাত গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট রোগীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি ৬৪ শতাংশ এবং নারী ৩৬ শতাংশ। এছাড়া মধ্যবয়সী যারা তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঢাকায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি।

এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার ভেতরে যে হাসপাতালগুলো রয়েছে, একটিতেই প্রচুর পরিমাণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছে মুগদা হাসপাতালে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা শহরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার ঢাকার বাইরের তুলনায় বেশি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভেতরে যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এরমধ্যে একটিতেই প্রচুর সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন। সেটি হলো মুগদা হাসপাতাল। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকার বাইরের তুলনায় ঢাকা শহরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার একটু বেশি।

হাসপাতাল পরিস্থিতি তুলে ধরে এমআইএস শাখার এই পরিচালক বলেন, বর্তমানে রাজধানীর অনেকগুলো হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীর শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। আর কিছু হাসপাতালে খালি আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরর থেকে সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি ডেঙ্গু রোগীরা যেন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদফতর মানুষকে সচেতন করার জন্য নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।