Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব : আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার পর আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম ধাপের সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র, আইন নতুন করে সাজানোর এক ঐতিহাসিক সুযোগ আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমাদের ভোটাধিকার ও টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কতগুলো সুদূরপ্রসারী সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের পক্ষে জুলাই অভ্যুত্থানের বীর সেনানীদের রক্তের ঋণ স্বীকার করা সম্ভব হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন এবং সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কাঠামো যেনো এমন হয়, যাতে স্বৈরাচার ব্যবস্থা ঢুকতে না পারে, সেটাই কমিশনের লক্ষ্য।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। তবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোনো দ্বিমত নেই। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবেও রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু জায়গায় আইনজীবীদের মতামত নেওয়ার কথা অনেকে বলেছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন করার ব্যাপারে সবাই একমত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইসির অধীনে নেওয়ার জন্য অধিকাংশ দল একমত এবং নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে জনগণের মতামত জানতে বিবিএসের মাধ্যমে জরিপ চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন প্রেরণের বিধান করতে একমত হয়েছে অধিকাংশ দল। তবে, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংসদ নির্বাচনে বারিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন করার ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দলগুলো। সেইসঙ্গে ভোট জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একমত অধিকাংশ দল। পৃথক তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন করার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে অধিকাংশ দল।

নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। এই বিষয়ে এক ধরনের কল্পিত বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো বিরোধ নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এক রকম এবং জাতীয় সনদ তৈরির চেষ্টা, সেটা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যেই করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে যেন রাজনৈতিক কাঠামো এমনভাবে হয়, যার মধ্যে স্বৈরাচারী ব্যবস্থাটা পুনরায় উত্থিত হতে না পারে এবং নাগরিকদের অধিকারগুলো সুরক্ষিত থাকে।

সংবিধান সংস্কার হবে নাকি পুনর্লিখন হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার, সংশোধন নাকি পুনর্লিখন হবে— এটি সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত রাজনীতিবিদরা নেবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি বিষয়গুলো অর্থাৎ, কোন কোন বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলোর বিষয়ে এক মতে এসে জুলাই সনদ তৈরি করতে পারি, তাহলে সেসময় বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার বিষয়টি আসবে। আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে অকুণ্ঠচিত্তে সমর্থন জানিয়েছে, আমরা মনে করি একটি পথ তারা নির্ধারণ করতে পারবে।

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমি আগেও বলেছি, কিছু কিছু বিষয়ে যেগুলো আশু করা যায়, সেগুলো সরকারকে জানানো হয়েছে। সরকার সেগুলো কিছু কিছু বাস্তবায়ন করছে, আগামী কয়েক মাসে কিছু কিছু বাস্তবায়ন করবে।

সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক শেষ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে।

এই বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা আমরা দ্রুততার সঙ্গে শুরু করতে চাই। আমরা আশা করছি, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা শুরু করবো। আমরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি সম্ভব হয়, তাহলে মে মাসের শেষের দিকে শুরু করব। যদি সেটি না হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু করব। জুন মাসে একটি দীর্ঘ ছুটিও আছে। আমাদের লক্ষ্য হলো এই ছুটির আগেই যেন আমরা এটি শুরু করতে পারি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা প্রথম পর্যায়ের আলোচনা থেকে কাঠামোগতভাবে ভিন্ন হবে। প্রথম পর্যায়ে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ১৬৬টি সুপারিশ এবং প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যেকের আলাদা আলাদা অবস্থান বোঝা। তো সেটা তারা তাদের মতামত দিয়েছে, সেটি নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা হবে বিষয়ভিত্তিক। বিশেষত প্রধান প্রধান বিষয়ে যেসব ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলাদা আলাদা দল নয়, একত্রিতভাবে দল ও জোটগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বসার পরিকল্পনা করছি।

এর আগে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় কোন কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে, সেই বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব : আলী রীয়াজ

প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার পর আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম ধাপের সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র, আইন নতুন করে সাজানোর এক ঐতিহাসিক সুযোগ আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমাদের ভোটাধিকার ও টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কতগুলো সুদূরপ্রসারী সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের পক্ষে জুলাই অভ্যুত্থানের বীর সেনানীদের রক্তের ঋণ স্বীকার করা সম্ভব হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন এবং সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কাঠামো যেনো এমন হয়, যাতে স্বৈরাচার ব্যবস্থা ঢুকতে না পারে, সেটাই কমিশনের লক্ষ্য।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। তবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোনো দ্বিমত নেই। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবেও রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু জায়গায় আইনজীবীদের মতামত নেওয়ার কথা অনেকে বলেছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন করার ব্যাপারে সবাই একমত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইসির অধীনে নেওয়ার জন্য অধিকাংশ দল একমত এবং নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে জনগণের মতামত জানতে বিবিএসের মাধ্যমে জরিপ চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন প্রেরণের বিধান করতে একমত হয়েছে অধিকাংশ দল। তবে, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংসদ নির্বাচনে বারিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন করার ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দলগুলো। সেইসঙ্গে ভোট জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একমত অধিকাংশ দল। পৃথক তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন করার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে অধিকাংশ দল।

নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। এই বিষয়ে এক ধরনের কল্পিত বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো বিরোধ নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এক রকম এবং জাতীয় সনদ তৈরির চেষ্টা, সেটা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যেই করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে যেন রাজনৈতিক কাঠামো এমনভাবে হয়, যার মধ্যে স্বৈরাচারী ব্যবস্থাটা পুনরায় উত্থিত হতে না পারে এবং নাগরিকদের অধিকারগুলো সুরক্ষিত থাকে।

সংবিধান সংস্কার হবে নাকি পুনর্লিখন হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার, সংশোধন নাকি পুনর্লিখন হবে— এটি সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত রাজনীতিবিদরা নেবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি বিষয়গুলো অর্থাৎ, কোন কোন বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলোর বিষয়ে এক মতে এসে জুলাই সনদ তৈরি করতে পারি, তাহলে সেসময় বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার বিষয়টি আসবে। আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে অকুণ্ঠচিত্তে সমর্থন জানিয়েছে, আমরা মনে করি একটি পথ তারা নির্ধারণ করতে পারবে।

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমি আগেও বলেছি, কিছু কিছু বিষয়ে যেগুলো আশু করা যায়, সেগুলো সরকারকে জানানো হয়েছে। সরকার সেগুলো কিছু কিছু বাস্তবায়ন করছে, আগামী কয়েক মাসে কিছু কিছু বাস্তবায়ন করবে।

সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক শেষ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে।

এই বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা আমরা দ্রুততার সঙ্গে শুরু করতে চাই। আমরা আশা করছি, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা শুরু করবো। আমরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি সম্ভব হয়, তাহলে মে মাসের শেষের দিকে শুরু করব। যদি সেটি না হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু করব। জুন মাসে একটি দীর্ঘ ছুটিও আছে। আমাদের লক্ষ্য হলো এই ছুটির আগেই যেন আমরা এটি শুরু করতে পারি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা প্রথম পর্যায়ের আলোচনা থেকে কাঠামোগতভাবে ভিন্ন হবে। প্রথম পর্যায়ে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ১৬৬টি সুপারিশ এবং প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যেকের আলাদা আলাদা অবস্থান বোঝা। তো সেটা তারা তাদের মতামত দিয়েছে, সেটি নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা হবে বিষয়ভিত্তিক। বিশেষত প্রধান প্রধান বিষয়ে যেসব ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলাদা আলাদা দল নয়, একত্রিতভাবে দল ও জোটগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বসার পরিকল্পনা করছি।

এর আগে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় কোন কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে, সেই বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া।