Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুন মাসে ২৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬১

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
  • ২৫২ জন দেখেছেন

জুন মাসে ২৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬১

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সীমিতভাবে গণপরিবহন চললেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। গত জুন মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৯৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৩৬১ জন এবং আহত ৩৪৮ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭ ও শিশু ৩২ জন।

রোববার (৫ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব জানা গেছে। দেশের ৭টি দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংস্থাটি।

এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ১০৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৪ জন, যা মোট নিহতের ২৬.০৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৪.৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৭৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১.০৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, অর্থাৎ ১৩.৫৭ শতাংশ। এই সময়ে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও ২৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ৬টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। মে মাসে ২১৩ টি দুর্ঘটনায় ২৯২ জন নিহত হয়েছিলেন। এই হিসাবে জুন মাসে দুর্ঘটনা ৩৯.৪৩% এবং প্রাণহানি ২৩.৬৩% বেড়েছে। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ২৭৭ জন, অর্থাৎ ৭৬.৭৩%। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক পদক্ষেপসমূহের মধ্যে একমাত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া অন্য সকল বিষয় প্রাতিষ্ঠানিক, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের এবং এর সাফল্য নির্ভর করে গণপরিবহন খাতের সুশাসনের উপর। তাই রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধ বা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুতগতি, অদক্ষ চালক, চালকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ১০টি কারণ তুলে ধরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক বাড়ানো, সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার, চালকদের কাজের সময় নির্ধারণ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

জুন মাসে ২৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬১

প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সীমিতভাবে গণপরিবহন চললেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। গত জুন মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৯৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৩৬১ জন এবং আহত ৩৪৮ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭ ও শিশু ৩২ জন।

রোববার (৫ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব জানা গেছে। দেশের ৭টি দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংস্থাটি।

এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ১০৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৪ জন, যা মোট নিহতের ২৬.০৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৪.৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৭৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১.০৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, অর্থাৎ ১৩.৫৭ শতাংশ। এই সময়ে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও ২৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ৬টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। মে মাসে ২১৩ টি দুর্ঘটনায় ২৯২ জন নিহত হয়েছিলেন। এই হিসাবে জুন মাসে দুর্ঘটনা ৩৯.৪৩% এবং প্রাণহানি ২৩.৬৩% বেড়েছে। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ২৭৭ জন, অর্থাৎ ৭৬.৭৩%। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক পদক্ষেপসমূহের মধ্যে একমাত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া অন্য সকল বিষয় প্রাতিষ্ঠানিক, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের এবং এর সাফল্য নির্ভর করে গণপরিবহন খাতের সুশাসনের উপর। তাই রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধ বা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুতগতি, অদক্ষ চালক, চালকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ১০টি কারণ তুলে ধরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক বাড়ানো, সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার, চালকদের কাজের সময় নির্ধারণ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।