Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুতা দিয়ে ‘শিষ্য’কে পেটালেন রাহাত ফাতেহ আলি!

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

কাওয়ালি সংগীতের সবচেয়ে উজ্জ্বল পরিবারের সদস্য তিনি। শুধু সদস্য বললে কমই হয়, বরং যোগ্য উত্তরসূরি। কাওয়ালি থেকে আধুনিক গান, সবেতেই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে খ্যাতি পেয়েছেন। সেই নন্দিত শিল্পী যখন কাউকে ‘বেধড়ক’ মারেন, তখন বিষয়টা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর এবং দুঃখজনক। পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিল্পী রাহাত ফতেহ আলি খানের সাম্প্রতিক এক কাণ্ডে এমনটাই বলাবলি করছে নেটিজেনরা।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। যেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির মাথা ঝুঁকিয়ে জুতা দিয়ে একের পর এক বাড়ি মারছেন। আর বলছেন, ‘বোতল কোথায়?’। জবাবে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, ভিডিওতে যিনি জুতাপেটা করছেন, তিনি রাহাত ফতেহ আলি খান। আর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেকে মনে করছিলেন, ঘরের সাহায্যকারী কর্মীকে এমন মারধর করছেন রাহাত। যা না নিয়ে ঘোর নিন্দাও প্রকাশ করছে নেটিজেনরা। তাজ্জব হয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, এ কোন রাহাত ফতেহ আলি খান?

তবে সমালোচনার মুখে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলি খান। জানালেন, ঘরের কর্মী নয়, বরং ওই ব্যক্তি তার ছাত্র বা শিষ্য। রাহাত বলেন, ‘এটা গুরু ও শিষ্যের মধ্যকার ব্যক্তিগত বিষয়। সে আমার ছেলের মতো। একজন শিক্ষক ও তার ছাত্রের মধ্যে সম্পর্ক এমনই। কোনও ছাত্র ভালো কিছু করলে, আমি তাকে ভালোবাসা দেই। যদি সে ভুল করে, তাকে শাস্তি দেওয়া হয়।’

‘জরুরি থা’ খ্যাত গায়ক আরও জানান, মারধরের পর ছাত্রের কাছে তিনি দুঃখপ্রকাশও করেছিলে।

মার খাওয়া ছাত্রও জানিয়েছেন, তিনি একটি বোতল ভুল জায়গায় রেখেছিলেন, যেটার ভেতরে পবিত্র পানি ছিল। তার ভাষ্য, ‘তিনি (রাহাত) আমার বাবার মতো। আমাকে অনেক ভালোবাসেন। যিনি ওই ভিডিও ছড়িয়েছেন, তিনি আমার গুরুর সম্মানহানির চেষ্টা করছিলেন।’

কাওয়ালি সংগীত চর্চায় গুরু-শিষ্যের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হয়, সেটা সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলি খান। যদিও তাতে অনেকের মন গলছে না। আধুনিক এই সময়ে ছাত্র বা শিষ্যের সঙ্গে এমন রূঢ় আচরণ কাম্য নয় বলেই মনে করেন নেটিজেনদের অধিকাংশ।

তবে এ ঘটনাকে রাহাত ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে দাবি করছেন! নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিওবার্তা দেন তিনি। বলেন, ‘এটা শিক্ষক ও ছাত্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা একজন ছাত্রকে ভালো কাজের জন্য ভালোবাসি, সেইসঙ্গে সে ভুল করলে তাকে শাস্তি দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পানির বোতলের কথা ভুলে গিয়েছিলাম; যা আমার পীর দিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনায় আমি আমার ছাত্র নাভিদ হুসনাইনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।’

এদিকে মারধরের শিকার ওই ছাত্র বলেন, ‘বোতলটিতে আধ্যাত্মিক নেতার (পীর) দেওয়া পানি ছিল, যা তিনি ভুলভাবে ফেলেছিলেন।’

যোগ করে বলেন, রাহাত ফতেহ আলী খান আমার বাবার মতো, আমার শিক্ষক। আল্লাহ জানেন, তিনি আমাদের কতটা ভালোবাসেন। যেই এটা করেছে, সে শুধু আমার শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইল করেছে তার মানহানির জন্য।

উল্লেখ্য, কাওয়ালি সংগীতের ‘সম্রাট’ খ্যাত ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খানের নাতি রাহাত ফতেহ আলি খান। তিনি পারিবারিক ঐতিহ্য যেমন ধরে রেখেছেন, তেমনি সিনেমায় গান গেয়েও কুড়িয়েছেন অঢেল প্রশংসা, জনপ্রিয়তা। তার গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জরুরি থা’, ‘ও রে পিয়া’, ‘জাগ সুনা সুনা লাগে’, ‘তেরে বিন’, ‘তেরি ওর’, ‘ম্যায় যাঁহা রাহু’, ‘তেরে মাস্ত মাস্ত দো ন্যায়ন’, ‘তুম যো আয়ে জিন্দেগি মে’, ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’ ইত্যাদি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

জুতা দিয়ে ‘শিষ্য’কে পেটালেন রাহাত ফাতেহ আলি!

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

কাওয়ালি সংগীতের সবচেয়ে উজ্জ্বল পরিবারের সদস্য তিনি। শুধু সদস্য বললে কমই হয়, বরং যোগ্য উত্তরসূরি। কাওয়ালি থেকে আধুনিক গান, সবেতেই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে খ্যাতি পেয়েছেন। সেই নন্দিত শিল্পী যখন কাউকে ‘বেধড়ক’ মারেন, তখন বিষয়টা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর এবং দুঃখজনক। পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিল্পী রাহাত ফতেহ আলি খানের সাম্প্রতিক এক কাণ্ডে এমনটাই বলাবলি করছে নেটিজেনরা।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। যেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির মাথা ঝুঁকিয়ে জুতা দিয়ে একের পর এক বাড়ি মারছেন। আর বলছেন, ‘বোতল কোথায়?’। জবাবে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, ভিডিওতে যিনি জুতাপেটা করছেন, তিনি রাহাত ফতেহ আলি খান। আর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেকে মনে করছিলেন, ঘরের সাহায্যকারী কর্মীকে এমন মারধর করছেন রাহাত। যা না নিয়ে ঘোর নিন্দাও প্রকাশ করছে নেটিজেনরা। তাজ্জব হয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, এ কোন রাহাত ফতেহ আলি খান?

তবে সমালোচনার মুখে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলি খান। জানালেন, ঘরের কর্মী নয়, বরং ওই ব্যক্তি তার ছাত্র বা শিষ্য। রাহাত বলেন, ‘এটা গুরু ও শিষ্যের মধ্যকার ব্যক্তিগত বিষয়। সে আমার ছেলের মতো। একজন শিক্ষক ও তার ছাত্রের মধ্যে সম্পর্ক এমনই। কোনও ছাত্র ভালো কিছু করলে, আমি তাকে ভালোবাসা দেই। যদি সে ভুল করে, তাকে শাস্তি দেওয়া হয়।’

‘জরুরি থা’ খ্যাত গায়ক আরও জানান, মারধরের পর ছাত্রের কাছে তিনি দুঃখপ্রকাশও করেছিলে।

মার খাওয়া ছাত্রও জানিয়েছেন, তিনি একটি বোতল ভুল জায়গায় রেখেছিলেন, যেটার ভেতরে পবিত্র পানি ছিল। তার ভাষ্য, ‘তিনি (রাহাত) আমার বাবার মতো। আমাকে অনেক ভালোবাসেন। যিনি ওই ভিডিও ছড়িয়েছেন, তিনি আমার গুরুর সম্মানহানির চেষ্টা করছিলেন।’

কাওয়ালি সংগীত চর্চায় গুরু-শিষ্যের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হয়, সেটা সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলি খান। যদিও তাতে অনেকের মন গলছে না। আধুনিক এই সময়ে ছাত্র বা শিষ্যের সঙ্গে এমন রূঢ় আচরণ কাম্য নয় বলেই মনে করেন নেটিজেনদের অধিকাংশ।

তবে এ ঘটনাকে রাহাত ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে দাবি করছেন! নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিওবার্তা দেন তিনি। বলেন, ‘এটা শিক্ষক ও ছাত্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা একজন ছাত্রকে ভালো কাজের জন্য ভালোবাসি, সেইসঙ্গে সে ভুল করলে তাকে শাস্তি দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পানির বোতলের কথা ভুলে গিয়েছিলাম; যা আমার পীর দিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনায় আমি আমার ছাত্র নাভিদ হুসনাইনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।’

এদিকে মারধরের শিকার ওই ছাত্র বলেন, ‘বোতলটিতে আধ্যাত্মিক নেতার (পীর) দেওয়া পানি ছিল, যা তিনি ভুলভাবে ফেলেছিলেন।’

যোগ করে বলেন, রাহাত ফতেহ আলী খান আমার বাবার মতো, আমার শিক্ষক। আল্লাহ জানেন, তিনি আমাদের কতটা ভালোবাসেন। যেই এটা করেছে, সে শুধু আমার শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইল করেছে তার মানহানির জন্য।

উল্লেখ্য, কাওয়ালি সংগীতের ‘সম্রাট’ খ্যাত ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খানের নাতি রাহাত ফতেহ আলি খান। তিনি পারিবারিক ঐতিহ্য যেমন ধরে রেখেছেন, তেমনি সিনেমায় গান গেয়েও কুড়িয়েছেন অঢেল প্রশংসা, জনপ্রিয়তা। তার গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জরুরি থা’, ‘ও রে পিয়া’, ‘জাগ সুনা সুনা লাগে’, ‘তেরে বিন’, ‘তেরি ওর’, ‘ম্যায় যাঁহা রাহু’, ‘তেরে মাস্ত মাস্ত দো ন্যায়ন’, ‘তুম যো আয়ে জিন্দেগি মে’, ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’ ইত্যাদি।