পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বয়স্ক কমিশনাররা শুধু জীবনটা দেওয়া ছাড়া সবকিছু করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলছেন। সবার সহযোগিতায় পৃথিবীর কাছে, নিজের বিবেকের কাছে যেন প্রমাণ করতে পারি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয়-অনুসরণীয়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদেও তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি একটা জাল ভোটও হয় প্রিসাইডিং অফিসারের চাকরি থাকবে না। এখন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা আছে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ছবি চেক করে তারপর ভোট দিতে দেবেন। যাতে কেউ বলতে না পারে ‘আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।’
আহসান হাবিব বলেন, কোনো টলারেন্স নেই, জিরো টলারেন্স। সততা, স্বচ্ছতা এবং সুন্দর ভোটের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এটার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। প্রার্থীদের সহযোগিতা দরকার, তারা সহযোগিতা করবেন। আমার সাথে এখানে যারা আছেন সবাই পরীক্ষিত। তারা আমাদের অনেক ইলেকশনে সহযোগিতা করে প্রমাণ করেছেন। তারা সঠিক নির্বাচনের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী হয়ে কাজ করছেন।
সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে আহসান হাবিব খান বলেন, আপনারা যারা আছেন তারা কেন্দ্রের সামনে ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। আর আপনারা কেন্দ্র ভাগ করে নেবেন। ভোট দিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসা করবেন ‘মা কেমন ভোট হলো?’ মা এসে বলবে ‘বাবা এত সুন্দর ভোট কখনো দেখি নাই।’ এটা যদি বলে তাহলে ১০০ তে ১০০ প্রচার করেন। আবার যদি বলে ‘বাবা আমার ভোট কে যেন দিয়ে গেছে, আর ভেতরে কে যেন সিল মারছে শুধু।’ তখনও আপনারা প্রচার করেন। যেই হোক, যার ফেভারে হোক সেটা প্রচার করেন। সেই সৎ সাহস দরকার। আপনাদের এই সহযোগিতা দরকার। এ পর্যন্ত আপনারা সহায়তা করেছেন, সাহায্য দিয়েছেন। কোনো একটা বড় পত্রিকায় (খবর) এসেছিল, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুজন চাকরিচ্যুত হতে যাচ্ছে। আপনাদের মিডিয়ার খবর আমাদের পর্যন্ত আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সকলের সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর কাছে, বাংলাদেশের ভোটারদের কাছে, আমাদের নিজেদের কাছে, বিবেকের কাছে যেন প্রমাণ করতে পারি এর আগে অতীতে এমন নির্বাচন হয়নি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এবং আগামীর নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে এই নির্বাচন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়োলো জার্নালিজম না। এ পর্যন্ত আপনারা সহায়তা করে এসেছেন। দেখেন বড় পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজন চাকরিচ্যুত হতে যাচ্ছেন। আপনাদের মিডিয়ার খবর আমাদের পর্যন্ত আসতে হবে। সবার সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর কাছে, বাংলাদেশের ভোটারদের কাছে, আমাদের বিবেকের কাছে, যেন প্রমাণ করতে পারি, অতীতে এমন নির্বাচন হয় নাই। এ নির্বাচন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ও আগামী নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুকরণীয় অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
এসময় পটুয়াখালী জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খান আনি শাহানুর খান ও পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।