বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা : 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলা চালিয়ে পন্ড করে দেওয়ার ঘটনার পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন জুলাই বিপ্লবে অংশ নেয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১ জুন) রাত ১০ টায় বাউফল থানা পুলিশের কাছে তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এ আবেদন করেন তারা।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিককে হুমকী, প্রশাসনিক অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল রবিবার বিকেল ৫ টায় উপজেলা পরিষদের মূল গেটের ভিতরে ইউএনওর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলন শুরু হলে প্রথমে বাধা প্রদান ও কনফারেন্স ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায় ইউএনওর ভাড়া কার একদল উশৃঙ্খল যুবকেরা। এরপরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার এক পর্যায়ে তাদের ওপর একই যুবকেরা হামলা চালিয়ে সংবাদ সম্মেলনটি পন্ড করে দেন। এ সময় ইউএনওর নির্দেশে শতাধিক আনছার ও গ্রাম পুলিশ সেখানে পৌছালে সংবাদ সম্মেলনকারীদের সাথে প্রায় আধাঘন্টা বাকবিতান্ডা হয়। পরে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হই। এ ঘটনার পর আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম নিরাপত্তাহীনতা রয়েছি। আমাদের আশঙ্কা ভবিষ্যাতেও এ ধরনের হামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের একটি মহল এ ধরনের কর্মকান্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এই হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির বাউফল উপজেলা শাখার উদ্দোগে অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউএনওকে দায়াত দেয়া না দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই কমিটির সভাপতি ও কালের কন্ঠের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেলের সঙ্গে ইউএনও মোঃ আমিনুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এমরান হাসান সোহেলকে জেলে ঢুকিয়ে সাজা দেওয়ার হুমকী প্রদান করেন ইউএনও। এরপর থেকেই ইউএনওকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন বেষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা ও সাংবাদিকরা।