Dhaka সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিব্রাল্টারের জালে ফ্রান্সের ১৪ গোল!

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারিয়েই বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ফরাসিদের অবস্থান বর্তমানে দুই নম্বরে। কিলিয়ান এমবাপে, আতোয়া গ্রিজমান, উসমান দেম্বেলের মত তারকায় ঠাসা ফ্রান্স কাল ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জিব্রাল্টারের, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে যাদের অবস্থান বাংলাদেশেরও ১৪ ধাপ নিচে ১৯৮ নম্বরে। দুর্বল দলের সঙ্গে এই ম্যাচে কাল গোল উৎসবে মেতেছিলেন এমবাপেরা, জিতেছেন ১৪-০ গোলের ব্যবধানে।

জিব্রাল্টার মূলত ব্রিটেনের অধীনে থাকা একটি ভূখন্ড যা স্পেনের দক্ষিণে অবস্থিত। ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে কাল তারা লজ্জার রেকর্ডের ভাগীদ্রা হয়েছে। এমবাপে, দেম্বেলে, অলিভিয়ের জিরুদের তপের মুখে একে একে ১৪ গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। ইউরোপের কোনো দলের এটিই সবথেকে বেশি গোল করার রেকর্ড।

ইউরোপিয়ান বাছাই পর্বে যে কোনো দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটি। এর আগে এ রেকর্ড ছিল জার্মানির। ২০০৬ সালে সান মারিনোর বিপক্ষে ১৩-০ গোলে জয় পেয়েছিল। ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসেও এটা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

গোলবন্যার ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে গোলের খাতায় নাম লেখান ৯ জন ফুটবলার। এর মধ্যে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করেন অলিভিয়ে জিরু ও কিংসলি কোমান। একটি গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মালিক হন ওয়ারেন জের-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে আজ। তিনি ছাড়াও একটি করে গোল করেছেন মার্কাস থুরাম, জনাথন ক্লস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওঁ, ওসমান দেম্বেলে।

এ ম্যাচে হ্যাটট্রিকের সুবাদে জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এমবাপে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। ৭৪ ম্যাচে ৪৬ গোল এখন তার। তিনি পেছনে ফেলেছেন অ্যান্তোনিও গ্রিজমানকে। ৪৪ গোল গ্রিজমানের। এমবাপের ওপরে এখন আছেন ওলিভার জিরুদ (৫৬) ও থিয়েরি অঁরি (৫১)।

আগেভাগে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হওয়ায় ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশ্যাম এ ম্যাচে ১৭ বছর বয়সী জাইরে ইমেরিকে মাঠে নামার সুযোগ দিয়েছিলেন। অভিষেক ম্যাচেই গোল করেছেন তিনি। মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা পান এ টিনএজার। তবে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি। গোল করার পরও অভিষেকটা আনন্দময়ও হয়নি তার। মারাত্মক ফাউলের শিকার হয়ে ২০ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ১৯১৪ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্স দলে এত কম বয়সী খেলোয়াড়ের অভিষেক হলো।

জিব্রাল্টারের ফুটবল ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। সাত ম্যাচ এক ম্যাচেও তারা জয়ের দেখা পায়নি। শুধু তাই এ পর্যন্ত একটা গোলও তারা করতে পারেনি। বিপরীতে তারা ৩৫ গোল হজম করেছে।

এদিকে ফ্রান্সের জয়ের দিনে অবশ্য হারের মুখ দেখতে হয়েছে সাবেক আরেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানী। তুরস্কের বিপক্ষে খেলতে নেমে শুরুতে লিড পাওয়া জুলিয়ান নাগলস্ম্যানের দল শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হারে ৩-২ গোলের ব্যবধানে।

‘বি’ গ্রুপে ফ্রান্স আগেই পয়েন্ট টেবিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ জয়ে তাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হলো। ৭ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ২১। নেদারল্যান্ডস রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের পয়েন্ট ১৫। আর তৃতীয় স্থানে থাকা গ্রিসের পয়েন্ট ১২।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

জিব্রাল্টারের জালে ফ্রান্সের ১৪ গোল!

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারিয়েই বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ফরাসিদের অবস্থান বর্তমানে দুই নম্বরে। কিলিয়ান এমবাপে, আতোয়া গ্রিজমান, উসমান দেম্বেলের মত তারকায় ঠাসা ফ্রান্স কাল ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জিব্রাল্টারের, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে যাদের অবস্থান বাংলাদেশেরও ১৪ ধাপ নিচে ১৯৮ নম্বরে। দুর্বল দলের সঙ্গে এই ম্যাচে কাল গোল উৎসবে মেতেছিলেন এমবাপেরা, জিতেছেন ১৪-০ গোলের ব্যবধানে।

জিব্রাল্টার মূলত ব্রিটেনের অধীনে থাকা একটি ভূখন্ড যা স্পেনের দক্ষিণে অবস্থিত। ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে কাল তারা লজ্জার রেকর্ডের ভাগীদ্রা হয়েছে। এমবাপে, দেম্বেলে, অলিভিয়ের জিরুদের তপের মুখে একে একে ১৪ গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। ইউরোপের কোনো দলের এটিই সবথেকে বেশি গোল করার রেকর্ড।

ইউরোপিয়ান বাছাই পর্বে যে কোনো দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটি। এর আগে এ রেকর্ড ছিল জার্মানির। ২০০৬ সালে সান মারিনোর বিপক্ষে ১৩-০ গোলে জয় পেয়েছিল। ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসেও এটা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

গোলবন্যার ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে গোলের খাতায় নাম লেখান ৯ জন ফুটবলার। এর মধ্যে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করেন অলিভিয়ে জিরু ও কিংসলি কোমান। একটি গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মালিক হন ওয়ারেন জের-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে আজ। তিনি ছাড়াও একটি করে গোল করেছেন মার্কাস থুরাম, জনাথন ক্লস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওঁ, ওসমান দেম্বেলে।

এ ম্যাচে হ্যাটট্রিকের সুবাদে জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এমবাপে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। ৭৪ ম্যাচে ৪৬ গোল এখন তার। তিনি পেছনে ফেলেছেন অ্যান্তোনিও গ্রিজমানকে। ৪৪ গোল গ্রিজমানের। এমবাপের ওপরে এখন আছেন ওলিভার জিরুদ (৫৬) ও থিয়েরি অঁরি (৫১)।

আগেভাগে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হওয়ায় ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশ্যাম এ ম্যাচে ১৭ বছর বয়সী জাইরে ইমেরিকে মাঠে নামার সুযোগ দিয়েছিলেন। অভিষেক ম্যাচেই গোল করেছেন তিনি। মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা পান এ টিনএজার। তবে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি। গোল করার পরও অভিষেকটা আনন্দময়ও হয়নি তার। মারাত্মক ফাউলের শিকার হয়ে ২০ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ১৯১৪ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্স দলে এত কম বয়সী খেলোয়াড়ের অভিষেক হলো।

জিব্রাল্টারের ফুটবল ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। সাত ম্যাচ এক ম্যাচেও তারা জয়ের দেখা পায়নি। শুধু তাই এ পর্যন্ত একটা গোলও তারা করতে পারেনি। বিপরীতে তারা ৩৫ গোল হজম করেছে।

এদিকে ফ্রান্সের জয়ের দিনে অবশ্য হারের মুখ দেখতে হয়েছে সাবেক আরেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানী। তুরস্কের বিপক্ষে খেলতে নেমে শুরুতে লিড পাওয়া জুলিয়ান নাগলস্ম্যানের দল শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হারে ৩-২ গোলের ব্যবধানে।

‘বি’ গ্রুপে ফ্রান্স আগেই পয়েন্ট টেবিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ জয়ে তাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হলো। ৭ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ২১। নেদারল্যান্ডস রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের পয়েন্ট ১৫। আর তৃতীয় স্থানে থাকা গ্রিসের পয়েন্ট ১২।