বিনোদন ডেস্ক :
কয়েকদিন আগে থানায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন প্রযোজক ও অভিনেত্রী সিমি ইসলাম কলি। সিমির অভিযোগ তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু। জিডিতে অপু বিশ্বাস ছাড়াও ছিল জাহিদুল ইসলাম অপুর নাম। ‘অপু বিশ্বাস’ ও ‘অপু বিশ্বাস অফিশিয়াল’ নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেল এবং অপু বিশ্বাসের ফেসবুকের দুটি পেজের অ্যাডমিন তিনি।
সোমবার রাতে সিমি ইসলাম কলি তাদের নামে সাধারণ ডায়েরি করেছেন জানিয়েছেন হাতিরঝিল থানার ওসি আওলাদ হোসেন।
অপু বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি অবগত। বিষয়টি নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আবেদনকারী তো আমার যোগ্যই নয়। তার সম্পর্কে কী বলব?
আমার অ্যাডমিনের যোগ্যতার কাতারে সে। তাই আমার অ্যাডমিনই বিষয়টি দেখছেন। আমার চ্যানেলের কনটেন্ট চুরি করে তিনিই আবার আমাদের বিরুদ্ধে জিডি করেন। এটি হাস্যকর। তার চ্যানেল তো সাসপেন্ড করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এখানে আমাদের কী?
শুধু জিডি করেই ক্ষান্ত হননি সিমি। অপু বিশ্বাষের বিরুদ্ধে তিনি বলেছেন কটু কথা। তিনি বলেছিলেন, বছরটা কোনোমতে চলি যাচ্ছিল অপুর। একদিন কথা বলার সময় এই অভিনেত্রীর নামও নিয়েছিলেন সিমি। সেখানে তিনি অপু বিশ্বাসকে হেয় করে কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, শুনেছি, আমাকে হেয় করে কথা বলেন তিনি। তার কী যোগ্যতা আছে আমাকে নিয়ে কথা বলার? কোথায় আগরতলা, কোথায় চৌকির তলা! এসব মানুষের জন্যই তো আমাদের চলচ্চিত্রের এই দুর্দশা। তাদের কারণেই প্রতারণার শিকার হয়ে সিনেমায় নতুন প্রযোজকেরা বেশি দিন টিকতে পারেন না এখানে।
তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়, আমি নাকি ফিতা কাটা নায়িকা। আরে যোগ্যদেরই তো এ ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়। তারকা ভ্যালুর কারণেই আমাদের মতো তারকাদের দিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। দেখেন না, ক্রিকেটের বড় বড় তারকাকেও নতুন প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন, ফিতা কাটতে ডাকা হয়।
এই চিত্রনায়িকা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তা হলে তাকে ডাকে না কেন? কারণ ওনার সেই যোগ্যতায় নেই। আমাকে নিয়ে কথা বলার সাহস তাকে কে দিয়েছে?’