বিনোদন ডেস্ক :
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববার (২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি জানান সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক।
তিনি বলেন, আজ আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির নবম মিটিং হয়েছে। সেখানে একবাক্যে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারার আলোকে আমাদের সম্মানিত সদস্য জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করার।
তিনি আরো বলেন, জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা নিয়ম অনুযায়ী তিনটি চিঠি ইস্যু করতে হয়। জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাতিল করার জন্য উপদেষ্টা কমিটির বিবেচনার জন্য রাখা হয়েছে।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান সাইমন।
কিন্তু এই স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত এখনই চূড়ান্ত নয় বলেও জানান এই নেতা-অভিনেতা। তিনি জানান, আজকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলী ও আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।
ঠিক এই পর্যায়ে, গণমাধ্যমকর্মীদের রোষানলের মুখে পড়েন সাইমন। প্রশ্ন ওঠে ৭ (ক) ধারায় এই স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় কি না, বিচারাধীন একটি মামলার বিপরীতে নিপুণ আক্তার সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারেন কি না ইত্যাদি।
এদিকে, জায়েদ খানের বহিস্কার দাবিতে এফডিসিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে বঞ্চিত ১১৩ জন শিল্পী। এ সময় তারা জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সাইমনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়- জায়েদ খানকে যে ইস্যুতে সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই একই বিষয়ে কয়েকজন শিল্পীকে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ব্যানার হাতে মিছিল করতে দেখা যায় সরেজমিনে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি-না! এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের চিঠি দেওয়া হবে সাংগঠনিকভাবে।
এদিকে সমিতির একই বৈঠকে কার্যনির্বাহী পরিষদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় সুচরিতা ও রুবেলকে। কারণ, তারা পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
তবে মিটিংয়ে আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক জয় চৌধুরী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অরুণা বিশ্বাস সদস্য পদ বাতিলের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন বলে জানা গেছে।