Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাল মুদ্রার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাল মুদ্রার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঈদ সামনে এলে জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দফতরে সংস্থাটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ঈদ সামনে এলে জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। অভিযান তো চলছে, তবে এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানে সংযমের পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে। এসব ব্যবসায়ী, চোরাকারবার ও ঈদে জাল টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র‌্যাব। এছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে তারা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের উপকার যারা করে, মানুষের নিরাপত্তা যারা দেয়; তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে অন্য একটি দেশ। বাংলাদেশ এটি মেনে নিতে পারে না। মনে রাখা উচিত, নিষেধাজ্ঞা কখনো একতরফা হয় না। তারা পারলে আমরাও স্যাঙ্কশন দিতে পারি। কাজেই মনোবল ভাঙবেন না কেউ। আত্মবিশ্বাস নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে বিরোধী দল রাজনীতির নামে সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যেহেতু এখানে দোষ চাপানোর রাজনীতি চলে। তাই সন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শনাক্ত করে; র‌্যাব ভালো কাজ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র‌্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। র‌্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশকেও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সবকিছুর লক্ষ্য হলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। র‌্যাবে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে, মহাপরিচালক পদক চালু করা হবে। আভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সহায়তা করবে, বাহিনীগুলোকে আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে স্যাংশন আসে। তখন বলেছিলাম, স্যাংশন কখনও একতরফা হয় না। প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দেব।

সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত করার চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, জলদস্যুরা যেন আবারও বিপথে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের জীবনের প্রয়োজনে যা দরকার সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের জীবিকার পথ আরও ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে মাঠে সক্রিয় ছিল র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো৷ যারা এখানে গণতান্ত্রিক ধারার অব্যাহত যাত্রা চায়নি, তাদের কাছে বিগত নির্বাচন ভালো লাগবে না। মনুষ্য সৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবকিছুকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সবাইকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

জাল মুদ্রার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাল মুদ্রার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঈদ সামনে এলে জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দফতরে সংস্থাটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ঈদ সামনে এলে জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। অভিযান তো চলছে, তবে এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানে সংযমের পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে। এসব ব্যবসায়ী, চোরাকারবার ও ঈদে জাল টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র‌্যাব। এছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে তারা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের উপকার যারা করে, মানুষের নিরাপত্তা যারা দেয়; তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে অন্য একটি দেশ। বাংলাদেশ এটি মেনে নিতে পারে না। মনে রাখা উচিত, নিষেধাজ্ঞা কখনো একতরফা হয় না। তারা পারলে আমরাও স্যাঙ্কশন দিতে পারি। কাজেই মনোবল ভাঙবেন না কেউ। আত্মবিশ্বাস নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে বিরোধী দল রাজনীতির নামে সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যেহেতু এখানে দোষ চাপানোর রাজনীতি চলে। তাই সন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শনাক্ত করে; র‌্যাব ভালো কাজ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র‌্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। র‌্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশকেও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সবকিছুর লক্ষ্য হলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। র‌্যাবে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে, মহাপরিচালক পদক চালু করা হবে। আভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সহায়তা করবে, বাহিনীগুলোকে আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে স্যাংশন আসে। তখন বলেছিলাম, স্যাংশন কখনও একতরফা হয় না। প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দেব।

সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত করার চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, জলদস্যুরা যেন আবারও বিপথে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের জীবনের প্রয়োজনে যা দরকার সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের জীবিকার পথ আরও ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে মাঠে সক্রিয় ছিল র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো৷ যারা এখানে গণতান্ত্রিক ধারার অব্যাহত যাত্রা চায়নি, তাদের কাছে বিগত নির্বাচন ভালো লাগবে না। মনুষ্য সৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবকিছুকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সবাইকে।