Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জায়েদের সঙ্গে হোটেলে থাকা নিয়ে মুখ খুললেন সায়ন্তিকা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯২ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

বাংলাদেশে নির্মিতব্য একটি ছবির কাজে হাত দিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ছায়াবাজ’ নামের এই ছবিটি প্রযোজনা করছেন মনিরুল ইসলাম। এই ছবিতে অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সায়ন্তিকা।

এই নায়িকার অভিযোগ, প্রযোজকের অপেশাদারি আচারনের কারণে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি তার। ফলে শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় ফিরে গেছেন তিনি।

এ সময় জায়েদ খানের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটানো নিয়ে তিনি বলেন, কে আমাকে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবিত নই। কোনও সাফাই দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করি না কারণ আমি জানি সত্যিটা কী। আর নায়ক-নায়িকা যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও বসে থাকে, সমস্যা কোথায়?

অথচ এর আগে গণমাধ্যমকে সায়ন্তিকা বলেছিলেন, আমি এক জন পেশাদার শিল্পী। তাই এ রকম করার কথা ভাবতেই পারি না। মাইকেল আমার থেকে অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে আমায় সরাতে গিয়েছিল। তখন আমি সকলের সামনেই বাধা দিই।

নায়িকার এমন অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে খারাপ আচারন করেছেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি সায়ন্তিকা ও সিনেমার নায়ক জায়েদ খান শিডিউল অনুযায়ী সেটে উপস্থিত হতেন না, হোটেলে বেশি সময় কাটাতেন বলেও অভিযোগ করেন।

অভিযোগ উঠেছিল এ ছবির শুটিং সেটে নৃত্য পরিচালক হাত ধরায় নাখোশ হন সায়ন্তিকা। তার জেরে সোজ কলকাতা চলে যান তিনি। এবার অভিনেত্রী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে তার কোনো সমস্যাই হয়নি। তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন সায়ন্তিকা। নিউজ এইটটিনকে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশে যাওয়ার পর থেকে প্রযোজকের সঙ্গে বহু বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ৫০ থেকে ৭০ বার ফোন করেছি। কিন্তু উনি কোনও কথা বলেননি। কেন এমনটা করেছেন সেটা জানি না!

সায়ন্তিকা বলেন, একটি সিনেমায় কাজ করতে গেলে আগে পরিকল্পনা ঠিক করে করতে হয়। এক্ষেত্রে সেটির অভাব ছিল। শুটিংয়েও যার প্রভাব পড়েছিল। আমি দর্শককে হতাশ করতে চাই না। তাই এই বিষয়গুলি মিটিয়ে নিতে চাই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সায়ন্তিকা বলেন, সেই কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে কোনও সমস্যাই হয়নি। অকারণে কেন একজন শিল্পীর নামে মিথ্যা বলতে যাব? ও খুব আগ্রহ নিয়ে নিজের কাজ করার চেষ্টা করছিল। হয়ত কথা বলতে বলতেই না বুঝে আমার হাত ধরে নাচের পজিশন বুঝিয়েছে, কাজটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে। তার মধ্যে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ওর আশেপাশের মানুষই এ ধরনের খারাপ কথা রটাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একটি ছবি করার আগে তার পরিকল্পনা ঠিক করে করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তার অভাব ছিল। শ্যুটিংয়েও সেই প্রভাব পড়ছিল। আমি দর্শককে হতাশ করতে চাই না। তাই এই বিষয়গুলি মিটিয়ে নিতে চাই।

প্রসঙ্গত, তাজু কামরুলের পরিচালনায় ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় জায়েদ খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করছেন সায়ন্তিকা। এই সিনেমার শুটিং চলাকালীনই ‘টাইগার’ নামের আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

জায়েদের সঙ্গে হোটেলে থাকা নিয়ে মুখ খুললেন সায়ন্তিকা

প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

বাংলাদেশে নির্মিতব্য একটি ছবির কাজে হাত দিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ছায়াবাজ’ নামের এই ছবিটি প্রযোজনা করছেন মনিরুল ইসলাম। এই ছবিতে অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সায়ন্তিকা।

এই নায়িকার অভিযোগ, প্রযোজকের অপেশাদারি আচারনের কারণে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি তার। ফলে শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় ফিরে গেছেন তিনি।

এ সময় জায়েদ খানের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটানো নিয়ে তিনি বলেন, কে আমাকে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবিত নই। কোনও সাফাই দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করি না কারণ আমি জানি সত্যিটা কী। আর নায়ক-নায়িকা যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও বসে থাকে, সমস্যা কোথায়?

অথচ এর আগে গণমাধ্যমকে সায়ন্তিকা বলেছিলেন, আমি এক জন পেশাদার শিল্পী। তাই এ রকম করার কথা ভাবতেই পারি না। মাইকেল আমার থেকে অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে আমায় সরাতে গিয়েছিল। তখন আমি সকলের সামনেই বাধা দিই।

নায়িকার এমন অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে খারাপ আচারন করেছেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি সায়ন্তিকা ও সিনেমার নায়ক জায়েদ খান শিডিউল অনুযায়ী সেটে উপস্থিত হতেন না, হোটেলে বেশি সময় কাটাতেন বলেও অভিযোগ করেন।

অভিযোগ উঠেছিল এ ছবির শুটিং সেটে নৃত্য পরিচালক হাত ধরায় নাখোশ হন সায়ন্তিকা। তার জেরে সোজ কলকাতা চলে যান তিনি। এবার অভিনেত্রী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে তার কোনো সমস্যাই হয়নি। তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন সায়ন্তিকা। নিউজ এইটটিনকে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশে যাওয়ার পর থেকে প্রযোজকের সঙ্গে বহু বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ৫০ থেকে ৭০ বার ফোন করেছি। কিন্তু উনি কোনও কথা বলেননি। কেন এমনটা করেছেন সেটা জানি না!

সায়ন্তিকা বলেন, একটি সিনেমায় কাজ করতে গেলে আগে পরিকল্পনা ঠিক করে করতে হয়। এক্ষেত্রে সেটির অভাব ছিল। শুটিংয়েও যার প্রভাব পড়েছিল। আমি দর্শককে হতাশ করতে চাই না। তাই এই বিষয়গুলি মিটিয়ে নিতে চাই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সায়ন্তিকা বলেন, সেই কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে কোনও সমস্যাই হয়নি। অকারণে কেন একজন শিল্পীর নামে মিথ্যা বলতে যাব? ও খুব আগ্রহ নিয়ে নিজের কাজ করার চেষ্টা করছিল। হয়ত কথা বলতে বলতেই না বুঝে আমার হাত ধরে নাচের পজিশন বুঝিয়েছে, কাজটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে। তার মধ্যে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ওর আশেপাশের মানুষই এ ধরনের খারাপ কথা রটাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একটি ছবি করার আগে তার পরিকল্পনা ঠিক করে করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তার অভাব ছিল। শ্যুটিংয়েও সেই প্রভাব পড়ছিল। আমি দর্শককে হতাশ করতে চাই না। তাই এই বিষয়গুলি মিটিয়ে নিতে চাই।

প্রসঙ্গত, তাজু কামরুলের পরিচালনায় ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় জায়েদ খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করছেন সায়ন্তিকা। এই সিনেমার শুটিং চলাকালীনই ‘টাইগার’ নামের আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা।