Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিনে মুক্তি পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া রাজধানীর পল্টন থানার দুই মামলা এবং খিলগাঁও থানার চার মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যার পর কোর্ট হাজত থেকে তিনি ছাড়া পেয়ে বাসায় চলে যান।

জামিন পাওয়া মামলার মধ্যে পল্টন থানার দুটি হত্যা মামলা, আর খিলগাঁও থানার চারটির দুটি হত্যা মামলা আর দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা।

পুলিশের অভিযানে বিএনপি কর্মী মকবুল নিহতের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা সাবের হোসেন চৌধুরীকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামি সাবের হোসেনের রিমান্ড শেষ না করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। সে কারণে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে পাঠানো হলো। ভবিষ্যতে আসামির সুস্থতা সাপেক্ষে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও বলা হয়।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এর আগে, খিলগাঁও থানার আলাদা চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।

এর আগে, গতকাল তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামের বিএনপির কর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার সময় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর প্রটোকল ভেঙে তার ওপর ডিম নিক্ষেপের পাশাপাশি হামলা চালান বিএনপি নেতাকর্মীরা।

রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নগদে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে সপ্তাহ খানেকের মধ্য বিজ্ঞপ্তি : গভর্নর

জামিনে মুক্তি পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ১০:২০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া রাজধানীর পল্টন থানার দুই মামলা এবং খিলগাঁও থানার চার মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যার পর কোর্ট হাজত থেকে তিনি ছাড়া পেয়ে বাসায় চলে যান।

জামিন পাওয়া মামলার মধ্যে পল্টন থানার দুটি হত্যা মামলা, আর খিলগাঁও থানার চারটির দুটি হত্যা মামলা আর দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা।

পুলিশের অভিযানে বিএনপি কর্মী মকবুল নিহতের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা সাবের হোসেন চৌধুরীকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামি সাবের হোসেনের রিমান্ড শেষ না করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। সে কারণে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে পাঠানো হলো। ভবিষ্যতে আসামির সুস্থতা সাপেক্ষে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও বলা হয়।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এর আগে, খিলগাঁও থানার আলাদা চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।

এর আগে, গতকাল তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামের বিএনপির কর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার সময় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর প্রটোকল ভেঙে তার ওপর ডিম নিক্ষেপের পাশাপাশি হামলা চালান বিএনপি নেতাকর্মীরা।

রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।