নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকামেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল ইসলাম আসামি আকন্দকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এদিন আকন্দের পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সকাল ১১টায় বাসা থেকে মতিউর রহমান আকন্দকে আটক করে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যায় পুলিশ। এর আগে, উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কে তার বাড়ি মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টা থেকে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগ জানায়, মতিউর রহমান আকন্দ খুবই অসুস্থ, ইউনাইটেড হাসপাতালে আজকে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছিল।
গত ২৪ অক্টোবর রাতেও মতিউর রহমান আকন্দ ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার এমআরআই করেছেন। আজ তিনি হাসপাতালে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলেও জানায় দলটির প্রচার বিভাগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানারা ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর জামায়াত-শিবিরের বেশ কিছু নেতাকর্মী রাজধানীর উত্তরায় জসীম উদ্দীন সড়কে ছয় জন শিল্পীসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। পরে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা বুঝতে পেরে আসামিসহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের প্রতি লক্ষ্য করে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পুলিশকে আঘাত করলে তাদের নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেল ও লাঠির আঘাতে পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে নিজের জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ফায়ার করলে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়া। পরে এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।