Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতকে কর্মসূচি পালনে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনিবন্ধিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে কর্মসূচি পালন করতে হলে অবশ্যই পুলিশের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের কাছে তাদের গোপন বৈঠকের তথ্য থাকায় চার নেতাকে আটক করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের মতো অনিবন্ধিত দলকে কর্মসূচি পালন করতে হলে অবশ্যই পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

কেরানীগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেয়নি পুলিশ। তারপরও তারা সমাবেশে যাবার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিচ্ছি না। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলগুলো উস্কানি দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমাকে ডেকে পাঠালেন. তখন আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন: তোমাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে, কারণ মুক্তিযুদ্ধে সমুখযোদ্ধা ছিলে, কাজেই তোমাকে বানানো হয়েছে।’ এটাই শেখ হাসিনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের ভাইয়ের মতো মনে করেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে করেন দেশের সম্পদ। কারণ, তিনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধারা আছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, অনেকে চলে গেছেন। অনেকেই বিদায় নেব এ পৃথিবী থেকে। কিন্তু আমরা যতদিন থাকব, ততদিন মাথা উঁচু করে বলব–বাংলাদেশে কোনো অন্যায় হতে দেব না। কোনো অবিচার হতে দেব না, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেব না। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ১৫ আগস্ট যে ষড়যন্ত্র আমরা দেখেছি, আজও সেই ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের বাইরে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিভিন্ন বিভিন্ন দলের মানুষ। সে ক্ষেত্রে আপনাদের একত্রে থাকতে হবে। আমরা যদি একত্রে না থাকতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা বিপদগ্রস্ত হব। আমরা হব না এটা মনে করি। সমস্ত বাংলাদেশ আজ এক। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মানুষ আর অন্ধকার দিকে যাওয়ার জন্য স্বপ্নেও চিন্তা করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

জামায়াতকে কর্মসূচি পালনে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:০৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনিবন্ধিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে কর্মসূচি পালন করতে হলে অবশ্যই পুলিশের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের কাছে তাদের গোপন বৈঠকের তথ্য থাকায় চার নেতাকে আটক করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের মতো অনিবন্ধিত দলকে কর্মসূচি পালন করতে হলে অবশ্যই পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

কেরানীগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেয়নি পুলিশ। তারপরও তারা সমাবেশে যাবার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিচ্ছি না। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলগুলো উস্কানি দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমাকে ডেকে পাঠালেন. তখন আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন: তোমাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে, কারণ মুক্তিযুদ্ধে সমুখযোদ্ধা ছিলে, কাজেই তোমাকে বানানো হয়েছে।’ এটাই শেখ হাসিনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের ভাইয়ের মতো মনে করেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে করেন দেশের সম্পদ। কারণ, তিনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধারা আছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, অনেকে চলে গেছেন। অনেকেই বিদায় নেব এ পৃথিবী থেকে। কিন্তু আমরা যতদিন থাকব, ততদিন মাথা উঁচু করে বলব–বাংলাদেশে কোনো অন্যায় হতে দেব না। কোনো অবিচার হতে দেব না, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেব না। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ১৫ আগস্ট যে ষড়যন্ত্র আমরা দেখেছি, আজও সেই ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের বাইরে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিভিন্ন বিভিন্ন দলের মানুষ। সে ক্ষেত্রে আপনাদের একত্রে থাকতে হবে। আমরা যদি একত্রে না থাকতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা বিপদগ্রস্ত হব। আমরা হব না এটা মনে করি। সমস্ত বাংলাদেশ আজ এক। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মানুষ আর অন্ধকার দিকে যাওয়ার জন্য স্বপ্নেও চিন্তা করে।