Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল শ্বশুরের

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়ায় জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত বৃদ্ধ শ্বশুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের নাম আব্দুস সাত্তার। পেশায় কৃষক সাত্তার শিবগঞ্জ উপজেলার সেকেন্দ্রাবাদ গ্রামের মৃত শরাফত প্রামানিকের ছেলে।

নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ১৮ বছর আগে বড় বোন সান্ত্বনা খাতুনের সঙ্গে পাশের শব্দলদিঘী গ্রামের মতিয়ারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি তুচ্ছ ঘটনায় সান্ত্বনাকে মারধর করে আসছিলেন। মতিয়ারের অভিযোগ তাকে জামাই হিসেবে ঠিকমতো দাওয়াত ও সমাদর করা হতো না। এজন্য তিনি বোনকে আমাদের বাড়িতেও আসতে দিতেন না। বছরখানেক আগেও মতিয়ার আমার বাবাকে মারধর করেছিলেন। বোনের সংসারের খাতিরে বিষয়টি আমারা মেনে নেই। গত ৬ ডিসেম্বর অসুস্থ ভাগ্নি স্নিগ্ধাকে দেখে আসার পথে মতিয়ার তার আত্মীয়দের নিয়ে বাবাকে মারধরের পর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৬ ডিসেম্বর উপজেলার শব্দলদিঘী গ্রামে অসুস্থ নাতনি স্নিগ্ধা দেখতে যান আব্দুস সাত্তার। সেখান থেকে ফেরার পথে মেয়ের জামাই মতিয়ার রহমান পারিবারিক কলহের জেরে তাকে মারধরের পর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। দ্রুত স্থানীয়রা আব্দুস সাত্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান। মামলায় সাত্তারের মেয়ের জামাই মতিয়ারসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

ওসি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় আপডেট করা হবে। আর ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল শ্বশুরের

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়ায় জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত বৃদ্ধ শ্বশুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের নাম আব্দুস সাত্তার। পেশায় কৃষক সাত্তার শিবগঞ্জ উপজেলার সেকেন্দ্রাবাদ গ্রামের মৃত শরাফত প্রামানিকের ছেলে।

নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ১৮ বছর আগে বড় বোন সান্ত্বনা খাতুনের সঙ্গে পাশের শব্দলদিঘী গ্রামের মতিয়ারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি তুচ্ছ ঘটনায় সান্ত্বনাকে মারধর করে আসছিলেন। মতিয়ারের অভিযোগ তাকে জামাই হিসেবে ঠিকমতো দাওয়াত ও সমাদর করা হতো না। এজন্য তিনি বোনকে আমাদের বাড়িতেও আসতে দিতেন না। বছরখানেক আগেও মতিয়ার আমার বাবাকে মারধর করেছিলেন। বোনের সংসারের খাতিরে বিষয়টি আমারা মেনে নেই। গত ৬ ডিসেম্বর অসুস্থ ভাগ্নি স্নিগ্ধাকে দেখে আসার পথে মতিয়ার তার আত্মীয়দের নিয়ে বাবাকে মারধরের পর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৬ ডিসেম্বর উপজেলার শব্দলদিঘী গ্রামে অসুস্থ নাতনি স্নিগ্ধা দেখতে যান আব্দুস সাত্তার। সেখান থেকে ফেরার পথে মেয়ের জামাই মতিয়ার রহমান পারিবারিক কলহের জেরে তাকে মারধরের পর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। দ্রুত স্থানীয়রা আব্দুস সাত্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান। মামলায় সাত্তারের মেয়ের জামাই মতিয়ারসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

ওসি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় আপডেট করা হবে। আর ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে।