সাভার উপজোলা প্রতিনিধি :
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, কোনো স্থানই শূন্য থাকে না, এটাও হয়তো থাকবে না। কিন্তু অনেক সময় লাগবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একজন চলে গেলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর যাওয়াটা কোনো দুঃখজনক নয়, বরং তার থাকাটাই দুঃখজনক ছিল।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইসএ মাঠে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, পরের ওপর নির্ভর করে তাকে অনেকটা সময় বাঁচতে হয়েছে। হুইল চেয়ারে থাকতে হয়েছে। তার চাইতে তার চলে যাওয়া অনেক ভালো।
তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী যা ভাবতেন, তাই বলার চেষ্টা করতেন। আমরা যদি তাকে সম্মান দেখাতে পারি, তার চিন্তা-চেতনা, তিনি যা করতে চেয়েছেন, যা করতে পারেননি, সেটার পাশে যদি দাঁড়াতে পারি, সেটাই হবে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সবচেয়ে বেশি মনে করা।
বঙ্গবীর বলেন, আমি এখানে এর আগেও ২-৩ বার এসেছি। এই মাঠে এসেছিলাম। ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সেখানে নাকি আমারও নাম ছিল। আমি বলেছিলাম, আমি সম্মাননা নেই না। আমাকে যদি তা দেওয়া না হয়, তাহলে আমি যাব। আর সম্মাননা দেওয়া হলে আমি যাব না। উনি আমার কথা রক্ষা করেছেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সত্যি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। দল-মতের ঊর্ধ্বে ছিলেন। তিনি যা ভাবতেন, তাই বলার চেষ্টা করতেন। খুবই খারাপ লাগছে। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুক। তিনি গরিব মানুষের ডাক্তার ছিলেন।
কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, তবে শেষ কয়েকটি বছর যেভাবে তিনি হুইল চেয়ারে অন্যের সহযোগিতায় চলতেন তার চেয়ে তার চলে যাওয়াটাই ভালো হয়েছে। আমরা সবাইতো পৃথিবিতে চিরকাল থাকতে আসিনি। তারপরও কষ্ট হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার মরদেহ চিকিৎসায় গবেষণার জন্য দান করে যাওয়ার জন্য বলে গেলেও ঢাকা মেডিকেল ও গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার প্রতি সম্মান জানিয়ে মরদেহে হাত দিতে অপারগতার কথা জানায়। পরে পরিবার তাকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয়।