Dhaka শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাপানি মায়ের জিম্মায় থাকছে দুই শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের কাছে রাখতে বাংলাদেশী বাবার করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে পারিবারিক আদালতের রায় বহাল থাকল। অর্থাৎ ওই দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকবে।

রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকার পারিবারিক আপিল আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।

জাপানি মায়ের আইনজীবী শিশির মনির ও বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তবে এ আদেশে সংক্ষুদ্ধ বাবা ইমরানের শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার জানান, গত ১১ জুলাই এ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। আমরা এ আদালতে ন্যায়বিচার পাব না জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। আপিল বিভাগে এ বিষয়টির ওপর শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। ওইদিন আমরা শুনানি না করে আপিল বিভাগের বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করি। তিনি সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন।

নাসিমা আক্তার বলেন, আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম ন্যায়বিচার পাব না। আশঙ্কায় সত্যি হলো। তিনি সেটা প্রমাণ করে দিলেন। তবে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।

গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান শিশুদের জিম্মা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে রায় দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে পরদিন ইমরান শরিফ আপিল করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

দুই সন্তানের মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে সরকার

জাপানি মায়ের জিম্মায় থাকছে দুই শিশু

প্রকাশের সময় : ১২:৫২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের কাছে রাখতে বাংলাদেশী বাবার করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে পারিবারিক আদালতের রায় বহাল থাকল। অর্থাৎ ওই দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকবে।

রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকার পারিবারিক আপিল আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।

জাপানি মায়ের আইনজীবী শিশির মনির ও বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তবে এ আদেশে সংক্ষুদ্ধ বাবা ইমরানের শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার জানান, গত ১১ জুলাই এ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। আমরা এ আদালতে ন্যায়বিচার পাব না জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। আপিল বিভাগে এ বিষয়টির ওপর শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। ওইদিন আমরা শুনানি না করে আপিল বিভাগের বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করি। তিনি সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন।

নাসিমা আক্তার বলেন, আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম ন্যায়বিচার পাব না। আশঙ্কায় সত্যি হলো। তিনি সেটা প্রমাণ করে দিলেন। তবে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।

গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান শিশুদের জিম্মা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে রায় দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে পরদিন ইমরান শরিফ আপিল করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

দুই সন্তানের মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।