নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৮ দিনে বৈধ পথে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। সে হিসাবে প্রতিদিন গড় রেমিট্যান্স আসছে প্রায় ৮১৮ কোটি টাকা।রেমিট্যান্সের এ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে পুরো জানুয়ারিতে তা দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, জানুয়ারির প্রথম ১৮ দিনে দেশে এসেছে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত বছরের ডিসেম্বরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৭২ কোটি ৮ লাখ ডলার। এ হিসাবে জানুয়ারিতে কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
জানুয়ারির প্রথম ১৮ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশে ব্যাংক আরও জানায়, ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৭ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।জানুয়ারির ৫ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর বছরের প্রথম ৪ দিনে ২২ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
আলোচিত ১৮ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এরমধ্যে রয়েছে সরকারি খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে দেশে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮০ কোটি মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
এর মধ্যে অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার এবং ডিসেম্বর মাসে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার, আগস্টে আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, অক্টোবরে আসে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার, নভেম্বর মাসে আসে ১৯৩ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ডলার, জানুয়ারিতে আসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, মার্চ মাসে আসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।