Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রোববার (২৬ মার্চ) লাখো কোটি বাঙালির অন্যরকম এক অনুভূতির দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা আসে স্বাধীনতার। তাইতো প্রতি বছর মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শহীদ বীর সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে পুরো জাতি। তবে গত কয়েকবারের তুলনায় এবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের উপস্থিত কম দেখা গেছে। স্বাধীনতা দিবসে মানুষের ঢল নামে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রোববার (২৬ মার্চ) সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে একই প্রথম প্রহর সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর ৬টা ১০ মিনিটে সৌধ এলাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর দলে দলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয় বীর শহীদরা।

বেলা ১০টার দিকে দেখা গেছে, ফুলের ডালা নিয়ে জাতির বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষ সৌধ প্রাঙ্গণে আসছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদী। তবে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে স্মৃতিসৌধ এলাকা।

স্মৃতিসৌধে আসা চাকরিজীবী ওবাইদুল অভি বলেন, এবার রোজার কারণে স্মৃতিসৌধে লোকজন তুলনামূলক অনেক কম এসেছে। আমি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে ভোরবেলায় এসেছি। আমার অফিসের অনেক সহকর্মী সেহরির পর পরেই ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। সকালে স্মৃতিসৌধে সবাইকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা জলিল মিয়া জানান, মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি অনেক খুশি। এই দেশটা তো আমাদের। তাই ভালোবাসা থেকে প্রতিবার আমি এখানে আসি।

পোশাক শ্রমিক মিলন মিয়া বলেন, এবার অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ দেয়নি। গত বছরে স্মৃতিসৌধে এসে জায়গা পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার মানুষ কম। সব কারখানা বন্ধ হলে ও রমজানের সময় না হলে মানুষ বেশি থাকতো।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইসমাত জাহান বলেন, আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসব এটা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা কয়েকজন একসাথে স্মৃতিসৌধে এসেছি। স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে মনে প্রশান্তি পাচ্ছি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, রোববার (২৬ মার্চ) সকালে জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর দলে দলে শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে মানুষ সৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। শ্রদ্ধার ফুলে ধীরে ধীরে বেদি ভরে যাচ্ছে। তবে শ্রদ্ধা নিবেদনে সুবিধার্থে বেদি থেকে ফুল অপসারণ করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দ্য হান্ড্রেডে দল পেলেন পাকিস্তানের ইমাদ ও আমির

জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

প্রকাশের সময় : ০১:০৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রোববার (২৬ মার্চ) লাখো কোটি বাঙালির অন্যরকম এক অনুভূতির দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা আসে স্বাধীনতার। তাইতো প্রতি বছর মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শহীদ বীর সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে পুরো জাতি। তবে গত কয়েকবারের তুলনায় এবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের উপস্থিত কম দেখা গেছে। স্বাধীনতা দিবসে মানুষের ঢল নামে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রোববার (২৬ মার্চ) সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে একই প্রথম প্রহর সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর ৬টা ১০ মিনিটে সৌধ এলাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর দলে দলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয় বীর শহীদরা।

বেলা ১০টার দিকে দেখা গেছে, ফুলের ডালা নিয়ে জাতির বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষ সৌধ প্রাঙ্গণে আসছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদী। তবে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে স্মৃতিসৌধ এলাকা।

স্মৃতিসৌধে আসা চাকরিজীবী ওবাইদুল অভি বলেন, এবার রোজার কারণে স্মৃতিসৌধে লোকজন তুলনামূলক অনেক কম এসেছে। আমি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে ভোরবেলায় এসেছি। আমার অফিসের অনেক সহকর্মী সেহরির পর পরেই ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। সকালে স্মৃতিসৌধে সবাইকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা জলিল মিয়া জানান, মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি অনেক খুশি। এই দেশটা তো আমাদের। তাই ভালোবাসা থেকে প্রতিবার আমি এখানে আসি।

পোশাক শ্রমিক মিলন মিয়া বলেন, এবার অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ দেয়নি। গত বছরে স্মৃতিসৌধে এসে জায়গা পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার মানুষ কম। সব কারখানা বন্ধ হলে ও রমজানের সময় না হলে মানুষ বেশি থাকতো।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইসমাত জাহান বলেন, আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসব এটা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা কয়েকজন একসাথে স্মৃতিসৌধে এসেছি। স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে মনে প্রশান্তি পাচ্ছি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, রোববার (২৬ মার্চ) সকালে জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর দলে দলে শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে মানুষ সৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। শ্রদ্ধার ফুলে ধীরে ধীরে বেদি ভরে যাচ্ছে। তবে শ্রদ্ধা নিবেদনে সুবিধার্থে বেদি থেকে ফুল অপসারণ করা হচ্ছে।