Dhaka সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রওশন, মহাসচিব মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিণী রওশন এরশাদ। এতে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ। এ ঘোষণার আগে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন রওশন এরশাদ।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউটে অনুষ্ঠান জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।

জাতীয় পার্টির প্রবীণ এই নেতা চেয়ারম্যান হিসেবে রওশন এরশাদের নাম ঘোষণা করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা দুই হাত উঠিয়ে তাতে সমর্থন জানান। এরপর দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে কাজী ফিরোজ রশিদকে নির্বাহী চেয়ারম্যান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, আল মাহগির শাদ এরশাদ, গোলাম সারোয়ার মিলন ও সুনীল শুভ রায়কে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই নাম ঘোষণার পর উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের কাছে মহাসচিব হিসেবে কাজী মামুনুর রশীদের নাম ঘোষণা করেন গোলাম সারোয়ার মিলন। উপস্থিত সবাই তা সমর্থন করেন।

প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই জাতীয় পার্টিতে সমস্যা চলছে দেবর জিএম কাদের এবং ভাবি রওশন এরশাদের মধ্যে। বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে প্রথম বিরোধ দেখা দেয় তাদের মধ্যে। দেবর-ভাবি পৃথকভাবে নিজেকে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিগত সংসদে। শেষপর্যন্ত রওশন এরশাদকে বহাল করেন স্পিকার।

কিন্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রওশন এরশাদ এবং তার সন্তানকে পার্টি থেকে মনোনয়ন না দেওয়া দেবর-ভাবির সম্পর্ক আরও অবনতি হয়।

এরইমধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে নিজেকে তিনি জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। রওশন এরশাদ দাবি করেছেন, তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। দলটির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে একাধিক দফায় সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। সেই সময়ও গত হয়েছে কয়েক মাস আগেই। কিন্তু কাউন্সিল করতে পারেনি জাতীয় পার্টি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রওশন, মহাসচিব মামুন

প্রকাশের সময় : ০৩:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিণী রওশন এরশাদ। এতে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ। এ ঘোষণার আগে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন রওশন এরশাদ।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউটে অনুষ্ঠান জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।

জাতীয় পার্টির প্রবীণ এই নেতা চেয়ারম্যান হিসেবে রওশন এরশাদের নাম ঘোষণা করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা দুই হাত উঠিয়ে তাতে সমর্থন জানান। এরপর দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে কাজী ফিরোজ রশিদকে নির্বাহী চেয়ারম্যান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, আল মাহগির শাদ এরশাদ, গোলাম সারোয়ার মিলন ও সুনীল শুভ রায়কে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই নাম ঘোষণার পর উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের কাছে মহাসচিব হিসেবে কাজী মামুনুর রশীদের নাম ঘোষণা করেন গোলাম সারোয়ার মিলন। উপস্থিত সবাই তা সমর্থন করেন।

প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই জাতীয় পার্টিতে সমস্যা চলছে দেবর জিএম কাদের এবং ভাবি রওশন এরশাদের মধ্যে। বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে প্রথম বিরোধ দেখা দেয় তাদের মধ্যে। দেবর-ভাবি পৃথকভাবে নিজেকে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিগত সংসদে। শেষপর্যন্ত রওশন এরশাদকে বহাল করেন স্পিকার।

কিন্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রওশন এরশাদ এবং তার সন্তানকে পার্টি থেকে মনোনয়ন না দেওয়া দেবর-ভাবির সম্পর্ক আরও অবনতি হয়।

এরইমধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে নিজেকে তিনি জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। রওশন এরশাদ দাবি করেছেন, তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। দলটির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে একাধিক দফায় সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। সেই সময়ও গত হয়েছে কয়েক মাস আগেই। কিন্তু কাউন্সিল করতে পারেনি জাতীয় পার্টি।