নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সিইসি। সব হিসেব শেষে এটি দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
সিইসি বলেন, কেউ যদি মনে করেন এ তথ্যে ভুল হয়েছে; তিনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। ভোটের এ হার নিয়ে সমালোচনাকারীদের তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ দেয়া হলো।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাপানি পর্যবেক্ষক দল সুনাম করেছে বলেও জানান হাবিবুল আউয়াল।
এ নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেও সোমবার সাংবাদিকদের বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন সিইসি। তিনি বলেন, তখন ছিল দুপুর দুইটা পর্যন্ত দেয়া তথ্য। তবে ২৯৮টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফল বিশ্লেষণ করে মোট ভোটের হার ৪১.৮ শতাংশ পাওয়া গেছে।
এর আগে গতকাল রোববার ভোটগ্রহণ শেষে সিইসি সাংবাদিকেদের বলেন, সারা দেশে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও অনেক হিসাবনিকাশ আছে। সেটা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এখনও মূল ফলাফল আমরা পাইনি। হয়তো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর, সব ভোট গণনা শেষ হলে আমরা চূড়ান্ত হার জানাতে পারব’, বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ২৯৯টি আসনে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আমরাও পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনও করেছি। গুরুতর সহিংসতা ঘটেনি। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
‘সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে আমাদের দুইজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা কাজ করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন’, যোগ করেন তিনি।
সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন শেষে স্বস্তির বিষয় হলো- এ নির্বাচনে সহিংসতায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কিছু কেন্দ্রে ভোট কারচুপি এবং সিল মারারা চেষ্টা করা হয়েছিল; সেটা প্রতিরোধ করা হয়েছে। অনেক প্রার্থীর ভোটের অনিয়মের কারণে কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হয় ২৯৯ আসনে। তবে একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে ভোটের পার্থক্য এক হাজারেরও কম থাকায় ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়।
রাতে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২টি আসন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র থেকে জয়ী হয়েছেন ৬২ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ১১ এবং অন্য দল থেকে তিনজন প্রার্থী জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে একটি আসনের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।