Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য : সিইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এর আগে যে আলোচনা হয়েছে, প্রতিটা দলই জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কথা বলেছে। আমরা লক্ষ্য করছি, সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ওই বৈঠকে তৃণমূল বিএনপি সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করে। জবাবে সিইসি জানান, সংলাপের সময় রাজনৈতিক দলগুলোও সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করেছিল। তিনি বলেন, ‘সংলাপেও প্রায় প্রতিটি দলই আর্মির কথা বলেছে। আমরাও লক্ষ করেছি—সেনাবাহিনীর উপস্থিতিটা একান্তভাবে কাম্য। জনগণ আর্মির ওপর আস্থা রাখতে চায়। তারা যদি দায়িত্ব পালন করেন—তাহলে একটা ইতিবাচক দিক থাকবে। পেশিশক্তি বলে একটা শক্তি হয়েছে। দুঃখজনক হলেও এটা আমাদের দেশের বাস্তবতা। আমাদের প্রচুর কালো টাকা আছে। পুরো পকেটভর্তি কালো টাকা। কাজেই কালো টাকা ব্যবহার করতে হলে আমাদের পেশিশক্তিকে ক্রয় করতে হবে। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে জনগণের যে ভোটাধিকার, সেটা অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আপনাদেরও সাহসিকতার সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।’

সাংবিধানিকভাবে সরকার নির্বাচন কমিশনকে ভোটে সহায়তা করতে বাধ্য, দাবি করে সিইসি বলেন, ‘সরকারের যে সহায়তা, তার ওপর আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। আপনারা জানেন, সরকার ক্ষমতায় থাকবে। সেক্ষেত্রে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন—সরকার আসলে নিরপেক্ষ হবে কিনা? সরকার সেই প্রতিশ্রুতি এবং সাংবিধানিকভাবে আমাদের সেই নিরপেক্ষ সহায়তা দিতে বাধ্য। আমরা সরকার বলতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বুঝে থাকি। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মূল সরকার। আমাদের বৃহৎ পরিসরে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হবে।’

তৃণমূল বিএনপির নেতাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি কিন্ত ওখানে বসে আপনাদের ঘর পাহারা দিতে পারবো না। ৪২ হাজার কেন্দ্র, তিন লাখ বুথ। একজন মানুষের পক্ষে বিভাজিত হয়ে, কুটি কুটি হয়ে এসব পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়, এটা ফেরেশতারা পারে, আমরা পারবো না। কাজেই সেই ঐশ্বরিক শক্তি নিয়ে নয়, মানবিক শক্তি নিয়ে যতটা সম্ভব আমরা মনিটর করবো, পর্যবেক্ষণ করবো।

তিনি বলেন, আপনারা আর্মির কথা বলেছেন। এর আগে যে ডায়ালগগুলো হয়েছে, প্রতিটা দলই আর্মির কথা বলেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য। আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হচ্ছে কি না, পোলিং (ভোটগ্রহণ) ফেয়ার (সুষ্ঠু) হতে হবে। ভোটাররা আসছে কেউ বাধা দিচ্ছে না, আপনারাও বাধা দিচ্ছেন না, অন্যরাও বাধা দিচ্ছে না। কেউ বাধা দিতে পারবে না। এই অপরাধ আমরা বন্ধ করিয়েছি।

সিইসি বলেন, আমরা কিন্তু টিভির মাধ্যমে দেখতে চাইব ভোটাররা ভেতরে ঢুকছে কিনা। ঢোকার পর কিন্তু আমরা ওদেরকে দেখতে পারব না। কারণ সেই অধিকার আপনার আমার নেই। আমরা দেখব ভোটার পিসফুলি বেরিয়ে আসছে কিনা, তখন একঝাঁক সাংবাদিক তার ইন্টারভিউ নেবে। তারা যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোটারকে বলে ভাই বা বোন আপনি কি ভোট দিতে পারছেন। এভাবে চলতে থাকলে ভোট ভালো হবে। মিডিয়া ও অবজারভার ব্যবহার করা গেলে ভোট স্বচ্ছ হবে।

বৈঠকে সিইসি বলেন, আপনারা জানেন ভোটের সময় সরকার ক্ষমতায় থাকবে। অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকে সরকার নিরপেক্ষ থাকবে কি না। তবে সাংবিধানিকভাবেই নিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য সরকার। তাই নির্বাচন আমি কতটা শান্তিপূর্ণ করতে পারবো এটা সরকারের ওপর নির্ভর করবে। সাংবিধানিকভাবেই সরকার বাধ্য নির্বাচনে সহায়তা করায়। সরকারের যে সহায়তা তার ওপরে আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। সরকার বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো- জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন। ভোটে আপনাকে ডিপেন্ড করতে হবে জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর।

নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদের উদ্দেশে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দায়িত্ব নিয়ে বলবো, নির্বাচন একটি খেলা। যদি আপনি ভালো না খেলেন তাহলে জেতার প্রত্যাশা করবেন না। আপনাদের সবাইকে বলছি যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের ইলেকশন এজেন্ট অবশ্যই সেখানে থাকতে হবে। আপনাদের তরফ থেকে সহায়তা লাগবে, কারণ রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা বেশি।

সিইসি আরও বলেন, আপনাদের বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবো। কিন্তু প্রতিটি বুথে, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে যারা রিয়েল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের কিন্তু এজেন্ট থাকবে। আমি দেখেছি এজেন্ট যদি আপনারা ঠিকভাবে নিয়োগ দিতে পারেন, এজেন্ট যদি সাহসী ও অনুগত হয়, সে যদি শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে আরেকজনের পক্ষে আপনার বিপক্ষে অনাচার ও কারচুপি করা কঠিন হবে। এজন্য বলবো যারা প্রার্থী হবেন তারা যেন শক্তিশালী এজেন্ট দেন। আমরা দেখেছি অনেক প্রার্থীর এজেন্ট একেবারেই নেই। অনেকে প্রার্থী এজেন্ট না দিয়েও বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের নলেজে আসতে হবে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

ভোটের হার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শব্দটি চলে গেছে। ভোট যদি এক পার্সেন্ট পড়ে, এক পার্সেন্ট পড়বে না, ১০ পার্সেন্ট, ৩০ পার্সেন্ট পড়বে। মোট দুই লাখ ভোটার তার মধ্যে একজন ১৫০ পেয়েছে, অন্যজন ৫০ পেয়েছে, তাহলে যে ১৫০ পেয়েছে সে জিতে যাবে দিস ইজ দ্যা ‘ল’। আমি ‘ল’ সৃষ্টি করি নাই। আমাদের সংবিধান রক্ষা করতে হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, পেশিশক্তি বলে একটা শক্তি গ্রাউন্ড লেভেলে থাকে। আমাদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আছে, এখানে হাত দিলে কালো টাকা, ওখানে হাত দিলে কালো টাকা। পুরো পকেট ভর্তি কালো টাকা। কাজেই কালো টাকা ব্যবহার করতে আমাদের পেশিশক্তি ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের কালো টাকা ব্যবহারের জায়গা নেই। কালো টাকা দিয়ে পেশিশক্তি সংগ্রহ করা হচ্ছে। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে জনগণের যে ভোটাধিকার সেটা অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে। কিন্তু আমরা বলব, পোলিং এজেন্টেদের নিয়োগ দেবেন। কঠিনভাবে ট্রেনিং দেবেন। এজেন্ট যেন বুথ থেকে বের না হয়। সে কলা, চিড়া ও একটা পানির বোতল নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকবে। ক্ষুধা লাগলে সেখানেই খাবে, এক বিন্দুও সেন্টার ছাড়বে না।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে দলটির ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০৯:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এর আগে যে আলোচনা হয়েছে, প্রতিটা দলই জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কথা বলেছে। আমরা লক্ষ্য করছি, সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ওই বৈঠকে তৃণমূল বিএনপি সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করে। জবাবে সিইসি জানান, সংলাপের সময় রাজনৈতিক দলগুলোও সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করেছিল। তিনি বলেন, ‘সংলাপেও প্রায় প্রতিটি দলই আর্মির কথা বলেছে। আমরাও লক্ষ করেছি—সেনাবাহিনীর উপস্থিতিটা একান্তভাবে কাম্য। জনগণ আর্মির ওপর আস্থা রাখতে চায়। তারা যদি দায়িত্ব পালন করেন—তাহলে একটা ইতিবাচক দিক থাকবে। পেশিশক্তি বলে একটা শক্তি হয়েছে। দুঃখজনক হলেও এটা আমাদের দেশের বাস্তবতা। আমাদের প্রচুর কালো টাকা আছে। পুরো পকেটভর্তি কালো টাকা। কাজেই কালো টাকা ব্যবহার করতে হলে আমাদের পেশিশক্তিকে ক্রয় করতে হবে। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে জনগণের যে ভোটাধিকার, সেটা অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আপনাদেরও সাহসিকতার সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।’

সাংবিধানিকভাবে সরকার নির্বাচন কমিশনকে ভোটে সহায়তা করতে বাধ্য, দাবি করে সিইসি বলেন, ‘সরকারের যে সহায়তা, তার ওপর আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। আপনারা জানেন, সরকার ক্ষমতায় থাকবে। সেক্ষেত্রে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন—সরকার আসলে নিরপেক্ষ হবে কিনা? সরকার সেই প্রতিশ্রুতি এবং সাংবিধানিকভাবে আমাদের সেই নিরপেক্ষ সহায়তা দিতে বাধ্য। আমরা সরকার বলতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বুঝে থাকি। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মূল সরকার। আমাদের বৃহৎ পরিসরে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হবে।’

তৃণমূল বিএনপির নেতাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি কিন্ত ওখানে বসে আপনাদের ঘর পাহারা দিতে পারবো না। ৪২ হাজার কেন্দ্র, তিন লাখ বুথ। একজন মানুষের পক্ষে বিভাজিত হয়ে, কুটি কুটি হয়ে এসব পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়, এটা ফেরেশতারা পারে, আমরা পারবো না। কাজেই সেই ঐশ্বরিক শক্তি নিয়ে নয়, মানবিক শক্তি নিয়ে যতটা সম্ভব আমরা মনিটর করবো, পর্যবেক্ষণ করবো।

তিনি বলেন, আপনারা আর্মির কথা বলেছেন। এর আগে যে ডায়ালগগুলো হয়েছে, প্রতিটা দলই আর্মির কথা বলেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একান্তই কাম্য। আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হচ্ছে কি না, পোলিং (ভোটগ্রহণ) ফেয়ার (সুষ্ঠু) হতে হবে। ভোটাররা আসছে কেউ বাধা দিচ্ছে না, আপনারাও বাধা দিচ্ছেন না, অন্যরাও বাধা দিচ্ছে না। কেউ বাধা দিতে পারবে না। এই অপরাধ আমরা বন্ধ করিয়েছি।

সিইসি বলেন, আমরা কিন্তু টিভির মাধ্যমে দেখতে চাইব ভোটাররা ভেতরে ঢুকছে কিনা। ঢোকার পর কিন্তু আমরা ওদেরকে দেখতে পারব না। কারণ সেই অধিকার আপনার আমার নেই। আমরা দেখব ভোটার পিসফুলি বেরিয়ে আসছে কিনা, তখন একঝাঁক সাংবাদিক তার ইন্টারভিউ নেবে। তারা যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোটারকে বলে ভাই বা বোন আপনি কি ভোট দিতে পারছেন। এভাবে চলতে থাকলে ভোট ভালো হবে। মিডিয়া ও অবজারভার ব্যবহার করা গেলে ভোট স্বচ্ছ হবে।

বৈঠকে সিইসি বলেন, আপনারা জানেন ভোটের সময় সরকার ক্ষমতায় থাকবে। অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকে সরকার নিরপেক্ষ থাকবে কি না। তবে সাংবিধানিকভাবেই নিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য সরকার। তাই নির্বাচন আমি কতটা শান্তিপূর্ণ করতে পারবো এটা সরকারের ওপর নির্ভর করবে। সাংবিধানিকভাবেই সরকার বাধ্য নির্বাচনে সহায়তা করায়। সরকারের যে সহায়তা তার ওপরে আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। সরকার বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো- জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন। ভোটে আপনাকে ডিপেন্ড করতে হবে জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর।

নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদের উদ্দেশে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দায়িত্ব নিয়ে বলবো, নির্বাচন একটি খেলা। যদি আপনি ভালো না খেলেন তাহলে জেতার প্রত্যাশা করবেন না। আপনাদের সবাইকে বলছি যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের ইলেকশন এজেন্ট অবশ্যই সেখানে থাকতে হবে। আপনাদের তরফ থেকে সহায়তা লাগবে, কারণ রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা বেশি।

সিইসি আরও বলেন, আপনাদের বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবো। কিন্তু প্রতিটি বুথে, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে যারা রিয়েল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের কিন্তু এজেন্ট থাকবে। আমি দেখেছি এজেন্ট যদি আপনারা ঠিকভাবে নিয়োগ দিতে পারেন, এজেন্ট যদি সাহসী ও অনুগত হয়, সে যদি শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে আরেকজনের পক্ষে আপনার বিপক্ষে অনাচার ও কারচুপি করা কঠিন হবে। এজন্য বলবো যারা প্রার্থী হবেন তারা যেন শক্তিশালী এজেন্ট দেন। আমরা দেখেছি অনেক প্রার্থীর এজেন্ট একেবারেই নেই। অনেকে প্রার্থী এজেন্ট না দিয়েও বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের নলেজে আসতে হবে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

ভোটের হার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শব্দটি চলে গেছে। ভোট যদি এক পার্সেন্ট পড়ে, এক পার্সেন্ট পড়বে না, ১০ পার্সেন্ট, ৩০ পার্সেন্ট পড়বে। মোট দুই লাখ ভোটার তার মধ্যে একজন ১৫০ পেয়েছে, অন্যজন ৫০ পেয়েছে, তাহলে যে ১৫০ পেয়েছে সে জিতে যাবে দিস ইজ দ্যা ‘ল’। আমি ‘ল’ সৃষ্টি করি নাই। আমাদের সংবিধান রক্ষা করতে হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, পেশিশক্তি বলে একটা শক্তি গ্রাউন্ড লেভেলে থাকে। আমাদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আছে, এখানে হাত দিলে কালো টাকা, ওখানে হাত দিলে কালো টাকা। পুরো পকেট ভর্তি কালো টাকা। কাজেই কালো টাকা ব্যবহার করতে আমাদের পেশিশক্তি ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের কালো টাকা ব্যবহারের জায়গা নেই। কালো টাকা দিয়ে পেশিশক্তি সংগ্রহ করা হচ্ছে। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে জনগণের যে ভোটাধিকার সেটা অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে। কিন্তু আমরা বলব, পোলিং এজেন্টেদের নিয়োগ দেবেন। কঠিনভাবে ট্রেনিং দেবেন। এজেন্ট যেন বুথ থেকে বের না হয়। সে কলা, চিড়া ও একটা পানির বোতল নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকবে। ক্ষুধা লাগলে সেখানেই খাবে, এক বিন্দুও সেন্টার ছাড়বে না।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে দলটির ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।