Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মিদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর জিম্মি নাবিকদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে কথা তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে নিরাপদে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা চলছে। তবে সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও সতর্কভাবে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এখন থেকে দুবাই ছাড়াও আরব আমিরাতের অন্য শহরেও জনশক্তি রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশির জন্য এখন শুধুমাত্র দুবাইতে এমপ্লয়মেন্ট ভিসা চালু আছে। অন্য ছয়টি অ্যামিরেটসে এটি চালু নেই। সেটি চালু করার ব্যাপারে আলাপ করেছি। আকামা ট্রান্সফার অর্থাৎ একজন এপ্লয়ারের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যাওয়া, তারা এটা এলাউ করেছে। কিন্তু সেটা করতে গেলে অনেক ফি দিতে হয় এবং অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয়। সেটি যাতে না হয় সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।

ড. হাছান বলেন, আমিরাতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য কন্টাক্ট হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য আলোচনা হয়েছে। মাতারবাড়িতে যে ৩০০ একর জমি আছে সেখানে তাদের জমি নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গাজা ইস্যুতে আলোচনা করেছি। মুসলিম বিশ্ব কীভাবে একযোগে কাজ করতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।

রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমছে। এতে সবকিছুর ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা এখন প্রায় ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি আমরা তাদের সহসাই ফেরত পাঠাতে পারবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মিদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর জিম্মি নাবিকদের ছাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে কথা তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে নিরাপদে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা চলছে। তবে সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও সতর্কভাবে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এখন থেকে দুবাই ছাড়াও আরব আমিরাতের অন্য শহরেও জনশক্তি রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশির জন্য এখন শুধুমাত্র দুবাইতে এমপ্লয়মেন্ট ভিসা চালু আছে। অন্য ছয়টি অ্যামিরেটসে এটি চালু নেই। সেটি চালু করার ব্যাপারে আলাপ করেছি। আকামা ট্রান্সফার অর্থাৎ একজন এপ্লয়ারের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যাওয়া, তারা এটা এলাউ করেছে। কিন্তু সেটা করতে গেলে অনেক ফি দিতে হয় এবং অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয়। সেটি যাতে না হয় সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।

ড. হাছান বলেন, আমিরাতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য কন্টাক্ট হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য আলোচনা হয়েছে। মাতারবাড়িতে যে ৩০০ একর জমি আছে সেখানে তাদের জমি নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গাজা ইস্যুতে আলোচনা করেছি। মুসলিম বিশ্ব কীভাবে একযোগে কাজ করতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।

রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমছে। এতে সবকিছুর ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা এখন প্রায় ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি আমরা তাদের সহসাই ফেরত পাঠাতে পারবো।