স্পোর্টস ডেস্ক :
সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বার্সেলোনার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ তিন ম্যাচ জিততে পারেনি। তাই ঘরের মাঠে আলমেরিয়ার বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। ডিফেন্ডার সের্গিও রর্বাতোর জোড়ো গোলে দুর্দান্ত এক কামব্যাকে ম্যাচ জিতে নিয়েছে কাতালানরা। চলতি বছরের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ শেষ করেছে ৩-২ গোলের জয়ে।
ঘরের মাঠে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করে কাতালানদের জয়ের নায়ক সের্হিয়ো রবার্তো।
প্রথমার্ধেই প্রভাব বিস্তার করে খেলেছিল বার্সা। কিন্তু তাদের পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি ফরোয়ার্ডরা। ১৫টি গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। যার ৫টিই ছিল অন টার্গেট।
এর মধ্যে একটি সুযোগগে শুধু আলমেরিয়ার জালে জড়াতে পেরেছিল স্বাগতিকরা। ৩৩ মিনিটে গোলটি করেন রাফিনহা। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন রোনাল্ড আরাউজো। কিন্তু সেটি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক লুইস ম্যাক্সিমিয়নো। কিন্তু ফিরতি বলে খুব কাছ থেকে দারুণ এক শটে সেটিকে জালে জড়ান রাফিনহা।
৪১তম মিনিটে সেই গোলটি পরিশোধ করে দেন লিও ব্যাস্পিস্তাও। ১-১ ব্যবধান নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে বার্সা এবং আলমেরিয়া। ম্যাচের বয়স এক ঘণ্টা হওয়ার সময়, অর্থাৎ ৬০ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন রবের্তো। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।
কিন্তু ৭১তম মিনিটে এই গোলটিও শোধ করে দেয় আলেমেরিয়া। গোল করেন এডগার গঞ্জালেজ। যদিও এই গোলটি প্রথমে অফসাইডের অজুহাতে বাতিল করা হয়েছিলো। কিন্তু ভিএআর চেক করে সেটিকে বৈধ ঘোষণা দেওয়া হয়।
অবশেষে ৮৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং বার্সার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সার্জি রবের্তো।
অবশ্য এভাবে ভোগার কথা ছিল না বার্সার। বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেসও আক্ষেপ করেছেন ম্যাচের পর। নিজের অসন্তুষ্টির কথা গোপন করেননি, আমরা ৩০টির মতো শট নিয়েছি। উপহার দিয়েছি দুটি গোলও! প্রথমার্ধটা কোনওভাবেই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধেও বলতে হবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি অনেকবার। বলা যায় আমরা এমনটা করছি একমাস ধরেই। দলটা নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে। গত মৌসুমে যেটা তাদের ছিল। কোনও আগ্রাসন কিংবা মনোযোগও দেখছি না।
১৮ ম্যাচে ১১ জয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে বার্সেলোনা। ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে এক ম্যাচ কম খেলা রেয়াল মাদ্রিদ। ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জিরোনা।