Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ১৩৭

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২০২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছিল চতুর্থ দিন। হাতে ৮ উইকেট নিয়ে তাদের লক্ষ্য রানটা নিউজিল্যান্ডের নাগালের বাহিরে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু এ্যাজাজ প্যাটেল আর মিচেল স্যান্টনারের ঘুর্ণিতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউট করে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪ রান যোগ করেছেন দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে। তবে শরিফুলের দারুণ বোলিং তাদের ভোগান্তিতে ফেলেছিল। সাফল্য আসেনি যদিও। কিউইদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৩। হাতে আছে ১০ উইকেট।

এ্যাজাজ প্যাটেল নেন ৬ উইকেট আর মিচেল স্যান্টনারের পকেটে যায় ৩ উইকেট। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার জাকির হাসান। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৬ বলে ৫৯ রান করেন জাকির।

২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। জাকির ১৬ ও মুমিনুল শূন্য রানে ক্রিজে নেমেছিলেন। জাকির আক্রমণ শুরু করেন দ্বিতীয় ওভার থেকেই। মুমিনুল তখন হাত খুলতে শুরু করেন কেবল। দুজন মিলে যোগ করেছিলেন ৩৩ রান। এটিই দিনের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। ১০ রান করার পর অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এক প্রান্তে জাকির লড়াই করলেও যোগ্য সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। জাকিরের বিদায়ে দলীয় ১২৮ রানে পড়ে বাংলাদেশের নবম উইকেট। তার পর পুঁজিটা আরও বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন তাইজুল, শরিফুল। শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারি মারাতে লিড ১৩৬ রানে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে মূল আঘাতটা হেনেছেন বামহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫১ রানে তিনটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। একটি শিকার টিম সাউদির।

সঙ্গীরা প্রতিরোধ গড়তে না পারলেও এক জাকির হাসানের ব্যাটেই দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়েছে বাংলাদেশ। নাহলে আরও বিপদ হতে পারতো। তার ব্যাটে লিড একশ ছাড়িয়েছে। কিন্তু ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। তাকে ৫৯ রানে মিচেলের ক্যাচ বানিয়েছেন প্যাটেল। জাকিরের ৮৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়।

ওপেনার জাকির প্রান্ত আগলে থাকলেও যোগ্য সঙ্গী পাননি না কাউকে। একের পর একজনের বিদায়ে পুরোপুরি অরক্ষিত হয়ে পড়ে অপর প্রান্ত। তাতে খেই হারাতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ-সোহানের পর নাঈমও থিতু হতে পারেননি। তাকে ৯ রানে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ বানিয়েছেন স্যান্টনার। নাঈমের বিদায়ে পড়ে অষ্টম উইকেট। তার পর অবশ্য তৃতীয় টেস্ট ফিফটি তুলে নেন ওপেনার জাকির। তার ব্যাটেই লিড একশ ছাড়াতে পেরেছে।

কিউই স্পিনারদের ঘূর্ণিতে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। চতুর্থ দিন সকালে একে একে ফিরছেন ব্যাটাররা। সর্বশেষ মেহেদী হাসান মিরাজও সফরকারীদের স্পিনের বিপরীতে দাঁড়াতে পারেনি। প্যাটেলের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ৩ রানে ফিরেছেন। বিপদের সময়ে নতুন নামা নুরুল হাসান সোহানও একই মানসিকতার পরিচয় দিয়ে আউট হয়েছেন একই ওভারে। ২৪.৩ ওভারে তাকে এলবিডাব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সোহান রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। চতুর্থ বলে আবারও তাকে লেগ বিফোরে আম্পায়ার আউট দিলে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। সোহান রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তাতে এক ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে অল্প পুঁজিতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছে স্বাগতিক দল।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে ৮ রানের লিড নিয়ে ১৮০ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ১৩৭

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছিল চতুর্থ দিন। হাতে ৮ উইকেট নিয়ে তাদের লক্ষ্য রানটা নিউজিল্যান্ডের নাগালের বাহিরে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু এ্যাজাজ প্যাটেল আর মিচেল স্যান্টনারের ঘুর্ণিতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউট করে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪ রান যোগ করেছেন দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে। তবে শরিফুলের দারুণ বোলিং তাদের ভোগান্তিতে ফেলেছিল। সাফল্য আসেনি যদিও। কিউইদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৩। হাতে আছে ১০ উইকেট।

এ্যাজাজ প্যাটেল নেন ৬ উইকেট আর মিচেল স্যান্টনারের পকেটে যায় ৩ উইকেট। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার জাকির হাসান। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮৬ বলে ৫৯ রান করেন জাকির।

২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। জাকির ১৬ ও মুমিনুল শূন্য রানে ক্রিজে নেমেছিলেন। জাকির আক্রমণ শুরু করেন দ্বিতীয় ওভার থেকেই। মুমিনুল তখন হাত খুলতে শুরু করেন কেবল। দুজন মিলে যোগ করেছিলেন ৩৩ রান। এটিই দিনের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। ১০ রান করার পর অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এক প্রান্তে জাকির লড়াই করলেও যোগ্য সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। জাকিরের বিদায়ে দলীয় ১২৮ রানে পড়ে বাংলাদেশের নবম উইকেট। তার পর পুঁজিটা আরও বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন তাইজুল, শরিফুল। শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারি মারাতে লিড ১৩৬ রানে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে মূল আঘাতটা হেনেছেন বামহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫১ রানে তিনটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। একটি শিকার টিম সাউদির।

সঙ্গীরা প্রতিরোধ গড়তে না পারলেও এক জাকির হাসানের ব্যাটেই দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়েছে বাংলাদেশ। নাহলে আরও বিপদ হতে পারতো। তার ব্যাটে লিড একশ ছাড়িয়েছে। কিন্তু ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। তাকে ৫৯ রানে মিচেলের ক্যাচ বানিয়েছেন প্যাটেল। জাকিরের ৮৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়।

ওপেনার জাকির প্রান্ত আগলে থাকলেও যোগ্য সঙ্গী পাননি না কাউকে। একের পর একজনের বিদায়ে পুরোপুরি অরক্ষিত হয়ে পড়ে অপর প্রান্ত। তাতে খেই হারাতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ-সোহানের পর নাঈমও থিতু হতে পারেননি। তাকে ৯ রানে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ বানিয়েছেন স্যান্টনার। নাঈমের বিদায়ে পড়ে অষ্টম উইকেট। তার পর অবশ্য তৃতীয় টেস্ট ফিফটি তুলে নেন ওপেনার জাকির। তার ব্যাটেই লিড একশ ছাড়াতে পেরেছে।

কিউই স্পিনারদের ঘূর্ণিতে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। চতুর্থ দিন সকালে একে একে ফিরছেন ব্যাটাররা। সর্বশেষ মেহেদী হাসান মিরাজও সফরকারীদের স্পিনের বিপরীতে দাঁড়াতে পারেনি। প্যাটেলের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ৩ রানে ফিরেছেন। বিপদের সময়ে নতুন নামা নুরুল হাসান সোহানও একই মানসিকতার পরিচয় দিয়ে আউট হয়েছেন একই ওভারে। ২৪.৩ ওভারে তাকে এলবিডাব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সোহান রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। চতুর্থ বলে আবারও তাকে লেগ বিফোরে আম্পায়ার আউট দিলে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। সোহান রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তাতে এক ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে অল্প পুঁজিতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছে স্বাগতিক দল।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে ৮ রানের লিড নিয়ে ১৮০ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।