Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

জয়পুরহাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক সাইদুল হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিতরা হলেন- ওই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের জয়নাল মণ্ডল (৬৭), মোজাম্মেল হক (৬৫), মোফাজ্জল হোসেন (৬৩), তার ছেলে মোস্তফা (৪২) ও মোফসের আলী (৩৫), মোজাম্মেলের ছেলে মাহফুজার (৪৮) ও মাসুদ (৪০), মামুনুর রশীদ (৪৫), সামসুদ্দিন (৪১) এবং বেলাল (৪০)। রায় প্রদানের সময় জয়নাল ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কালাই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের বাসিন্দা আ. সামাদ ও জয়নাল মন্ডলের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই সম্পত্তির দখলদার হিসেবে আ. সামাদ মুরগির সেড করে ব্যবসা করেন। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই জয়নালরা ওই সম্পত্তিতে গিয়ে মাটি কাটেন। এটি দেখে সামাদের ছেলে সাইদুল, শরিফুল ও তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা বাধা দেন। এতে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করে জখম করেন জয়নালরা।

এতে সাইদুল গুরুতর জখম হন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে বগুড়া এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৯ দিন পর সাইদুল মারা যান।

এ ঘটনায় আ. সামাদ বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন কালাই থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ বর্মন। তদন্ত শেষে তিনি ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বিচারক এই রায় দেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। তবে রায় সঠিক হয়নি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী রাব্বিউল হাসান মোনেম।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

জয়পুরহাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক সাইদুল হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিতরা হলেন- ওই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের জয়নাল মণ্ডল (৬৭), মোজাম্মেল হক (৬৫), মোফাজ্জল হোসেন (৬৩), তার ছেলে মোস্তফা (৪২) ও মোফসের আলী (৩৫), মোজাম্মেলের ছেলে মাহফুজার (৪৮) ও মাসুদ (৪০), মামুনুর রশীদ (৪৫), সামসুদ্দিন (৪১) এবং বেলাল (৪০)। রায় প্রদানের সময় জয়নাল ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কালাই উপজেলার আওড়া কালিমোহর গ্রামের বাসিন্দা আ. সামাদ ও জয়নাল মন্ডলের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই সম্পত্তির দখলদার হিসেবে আ. সামাদ মুরগির সেড করে ব্যবসা করেন। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই জয়নালরা ওই সম্পত্তিতে গিয়ে মাটি কাটেন। এটি দেখে সামাদের ছেলে সাইদুল, শরিফুল ও তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা বাধা দেন। এতে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করে জখম করেন জয়নালরা।

এতে সাইদুল গুরুতর জখম হন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে বগুড়া এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৯ দিন পর সাইদুল মারা যান।

এ ঘটনায় আ. সামাদ বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন কালাই থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ বর্মন। তদন্ত শেষে তিনি ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বিচারক এই রায় দেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। তবে রায় সঠিক হয়নি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী রাব্বিউল হাসান মোনেম।