Dhaka মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমিয়তকে ৪টি আসন ছেড়ে দিলো বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসনে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় জমিয়তের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জমিয়ত নেতারা তাদের দলীয় প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে নির্বাচন করবেন। ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জমিয়তই এবারের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। দলটির প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি আসন। এটি নিয়ে টানাপোড়েনও দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলো জমিয়তের। ফলে সারাদেশে জমিয়তের যারা প্রার্থী ছিলেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। দোয়া করছি তাদের এই উদ্যোগ যেন সফল হয়।

দেশ যখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে তখন একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার কয়েকটা মাস যোগ্যতার পরিচয় দেবে। তবে সরকারকে ধন্যবাদ, তারা কথা রেখেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ করার ব্যাপারে সরকারকে আরও সযতন, ইতিবাচক ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করা দরকার। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু পরিবেশে হয় সেটা আমরা আশা করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিগত দিনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে জমিয়তে উলামায়ে শীর্ষ স্থানে ছিল। সেই রাজনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় দলটির সঙ্গে নির্বাচনি আসনের সমঝোতা হয়েছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, দেশের কল্যাণে জাতীয়তাবাদী দল সবচেয়ে বেশি আস্থাভাজন। বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় এসেছে, ভবিষ্যতেও বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে বলে বিশ্বাস করি।

জমিয়তের নেতাদের মধ্যে দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জমিয়তকে ৪টি আসন ছেড়ে দিলো বিএনপি

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসনে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় জমিয়তের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জমিয়ত নেতারা তাদের দলীয় প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে নির্বাচন করবেন। ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জমিয়তই এবারের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। দলটির প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি আসন। এটি নিয়ে টানাপোড়েনও দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলো জমিয়তের। ফলে সারাদেশে জমিয়তের যারা প্রার্থী ছিলেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। দোয়া করছি তাদের এই উদ্যোগ যেন সফল হয়।

দেশ যখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে তখন একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার কয়েকটা মাস যোগ্যতার পরিচয় দেবে। তবে সরকারকে ধন্যবাদ, তারা কথা রেখেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ করার ব্যাপারে সরকারকে আরও সযতন, ইতিবাচক ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করা দরকার। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু পরিবেশে হয় সেটা আমরা আশা করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিগত দিনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে জমিয়তে উলামায়ে শীর্ষ স্থানে ছিল। সেই রাজনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় দলটির সঙ্গে নির্বাচনি আসনের সমঝোতা হয়েছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, দেশের কল্যাণে জাতীয়তাবাদী দল সবচেয়ে বেশি আস্থাভাজন। বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় এসেছে, ভবিষ্যতেও বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে বলে বিশ্বাস করি।

জমিয়তের নেতাদের মধ্যে দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।