Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচে ধরে গেছে : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২০৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচে ধরে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসমর্থন থাকলে সরকার উৎখাত করতে কোনো দলকে চোরাগুপ্তা হামলা করতে হত না।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ বলছে তারা উন্নয়নের সরকার, বিএনপি বলছে, সরকার দেশকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে গেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা দেউলিয়া বানিয়েছিল, সেই দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছি।

আপনি (ওবায়দুল কাদের) সব সময় বলেন, বিএনপি ভুয়া, টিআইবি ভুয়া, নাগরিক কমিটি ভুয়া। আমেরিকার ভিসানীতি ভুয়া নীতি কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে। তারা যা বলেছে, কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কিনা- এটা দেখার সময় আছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের হামলাকে বিচ্ছিন ঘটনা বলে তিনি বলেন, নির্বাচনে এসব বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত (হামলার) ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী বা অন্য দলের প্রার্থীদেরও নির্বাচন বয়কট করার কোনো কারণ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনকার বার্নিং ইস্যু দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বছরে ২০ লাখ। এটা আমাদের একটা লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিল্পের প্রসার ঘটানো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জঙ্গিবাদ রোধ করা, সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা ও প্রসার ঘটানো আমাদের অগ্রাধিকার লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভুল হলে ভুল থেকে শিক্ষা নেব’ শেখ হাসিনা তার এ বক্তব্যে যে সৎ সাহস দেখিয়েছেন, এটাই সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট। একজন প্রধানমন্ত্রী এত উন্নয়নের পরও এটা বলছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, ‘আমার কোনো ভুল নেই, দেশ পরিচালনায় সব কিছু সঠিক করেছি।’— এমন বাগাড়ম্বর উনি পেশ করেননি।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে ব্যবস্থা না নিতে পারলেও নির্বাচনের পরে ঠিকই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় সহিংসতার ঘটনা বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটি স্বাভাবিক। কোনো প্রার্থীই নির্বাচন বয়কট করবে না। এবারের নির্বাচনে কনভেন্স করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে চায়।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কুড়িগ্রামে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ৩০ গ্রামের মানুষ

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচে ধরে গেছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচে ধরে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসমর্থন থাকলে সরকার উৎখাত করতে কোনো দলকে চোরাগুপ্তা হামলা করতে হত না।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ বলছে তারা উন্নয়নের সরকার, বিএনপি বলছে, সরকার দেশকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে গেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা দেউলিয়া বানিয়েছিল, সেই দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছি।

আপনি (ওবায়দুল কাদের) সব সময় বলেন, বিএনপি ভুয়া, টিআইবি ভুয়া, নাগরিক কমিটি ভুয়া। আমেরিকার ভিসানীতি ভুয়া নীতি কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে। তারা যা বলেছে, কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কিনা- এটা দেখার সময় আছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের হামলাকে বিচ্ছিন ঘটনা বলে তিনি বলেন, নির্বাচনে এসব বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত (হামলার) ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী বা অন্য দলের প্রার্থীদেরও নির্বাচন বয়কট করার কোনো কারণ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনকার বার্নিং ইস্যু দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বছরে ২০ লাখ। এটা আমাদের একটা লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিল্পের প্রসার ঘটানো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জঙ্গিবাদ রোধ করা, সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা ও প্রসার ঘটানো আমাদের অগ্রাধিকার লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভুল হলে ভুল থেকে শিক্ষা নেব’ শেখ হাসিনা তার এ বক্তব্যে যে সৎ সাহস দেখিয়েছেন, এটাই সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট। একজন প্রধানমন্ত্রী এত উন্নয়নের পরও এটা বলছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, ‘আমার কোনো ভুল নেই, দেশ পরিচালনায় সব কিছু সঠিক করেছি।’— এমন বাগাড়ম্বর উনি পেশ করেননি।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে ব্যবস্থা না নিতে পারলেও নির্বাচনের পরে ঠিকই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় সহিংসতার ঘটনা বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটি স্বাভাবিক। কোনো প্রার্থীই নির্বাচন বয়কট করবে না। এবারের নির্বাচনে কনভেন্স করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে চায়।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।