Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনবলসঙ্কট জয়পুরহাট রেল স্টেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জয়পুরহাট রেল স্টেশনের সাত পদে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র চার জন। বাকি তিনটি পদই শূন্য। ফলে প্রত্যেককে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। শুধু জয়পুরহাট স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জয়পুরহাট ছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে তিলকপুর স্টেশন ও সান্তাহার স্টেশনের মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে রাজস্ব আয় বাড়লেও স্টেশনগুলোর নিয়মিত তদারকি করতে না পারায় বাড়েনি যাত্রী সেবার মান।

জয়পুরহাট রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউনে ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে বর্তমানে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকাগামী আপ-ডাউন মিলে পাঁচটি ট্রেন, বিভাগীয় শহর রাজশাহীগামী তিনটি ও খুলনাগামী তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন। জয়পুরহাটসহ আশপাশের চারটি জেলায় কমপক্ষে ১০টি উপজেলার মানুষ এ স্টেশন ব্যবহার করে থাকেন। গড়ে প্রতি মাসে রেল স্টেশনে ৩৫ হাজার যাত্রী ওঠানামা করে। এতে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৭৫-৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়। জয়পুরহাট রেল স্টেশনের এক হিসেবে দেখা গেছে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাত্রীর টিকিট বিক্রিতে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং মালামাল তোলা ও খালাস খাতে ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪০ টাকা। যা বিগত সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।

জয়পুরহাট রেল স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান, স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফরমে যাত্রীদের যাওয়ার বা ওঠানামার কোনো ব্যবস্থা নেই। ছাউনি না থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে দারুণ কষ্ট করতে হয় যাত্রীদের। মালামাল ওঠানামায় ব্যাপক রাজস্ব আয় হলেও দীর্ঘদিন ধরে ইয়ার্ডের কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টিতেই সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আবার মালামাল রাখার শেডও নেই।

তিনি আরো জানান, জয়পুরহাট স্টেশনের কিছু সমস্যার সমাধান করা গেলে রাজস্ব আয় আরো বাড়ানো সম্ভব। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যাত্রী বের হওয়ার রাস্তা ডবল করা, মাঝখানের প্ল্যাটফরমের সঙ্গে ওভারব্রিজের সংযোগ ও যাত্রী ছাউনি দরকার, আসন সংখ্যা বাড়ানো ও ইয়ার্ড লাইনের সংস্কার। এছাড়াও সাত জন লোকবলের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে চার জন। তিনি নিজেও একই সঙ্গে তিনটি রেল স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান।

জয়পুরহাট স্টেশনের মূল দায়িত্ব হলেও অতিরিক্ত হিসেবে তিলকপুর স্টেশন ও সান্তাহার স্টেশনের মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ফলে স্টেশনগুলোর নিয়মিত তদারকি করতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। সমস্যাগুলো নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা পত্র দেওয়া হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

জনবলসঙ্কট জয়পুরহাট রেল স্টেশন

প্রকাশের সময় : ০৫:০২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জয়পুরহাট রেল স্টেশনের সাত পদে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র চার জন। বাকি তিনটি পদই শূন্য। ফলে প্রত্যেককে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। শুধু জয়পুরহাট স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জয়পুরহাট ছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে তিলকপুর স্টেশন ও সান্তাহার স্টেশনের মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে রাজস্ব আয় বাড়লেও স্টেশনগুলোর নিয়মিত তদারকি করতে না পারায় বাড়েনি যাত্রী সেবার মান।

জয়পুরহাট রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউনে ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে বর্তমানে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকাগামী আপ-ডাউন মিলে পাঁচটি ট্রেন, বিভাগীয় শহর রাজশাহীগামী তিনটি ও খুলনাগামী তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন। জয়পুরহাটসহ আশপাশের চারটি জেলায় কমপক্ষে ১০টি উপজেলার মানুষ এ স্টেশন ব্যবহার করে থাকেন। গড়ে প্রতি মাসে রেল স্টেশনে ৩৫ হাজার যাত্রী ওঠানামা করে। এতে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৭৫-৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়। জয়পুরহাট রেল স্টেশনের এক হিসেবে দেখা গেছে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাত্রীর টিকিট বিক্রিতে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং মালামাল তোলা ও খালাস খাতে ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪০ টাকা। যা বিগত সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।

জয়পুরহাট রেল স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান, স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফরমে যাত্রীদের যাওয়ার বা ওঠানামার কোনো ব্যবস্থা নেই। ছাউনি না থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে দারুণ কষ্ট করতে হয় যাত্রীদের। মালামাল ওঠানামায় ব্যাপক রাজস্ব আয় হলেও দীর্ঘদিন ধরে ইয়ার্ডের কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টিতেই সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আবার মালামাল রাখার শেডও নেই।

তিনি আরো জানান, জয়পুরহাট স্টেশনের কিছু সমস্যার সমাধান করা গেলে রাজস্ব আয় আরো বাড়ানো সম্ভব। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যাত্রী বের হওয়ার রাস্তা ডবল করা, মাঝখানের প্ল্যাটফরমের সঙ্গে ওভারব্রিজের সংযোগ ও যাত্রী ছাউনি দরকার, আসন সংখ্যা বাড়ানো ও ইয়ার্ড লাইনের সংস্কার। এছাড়াও সাত জন লোকবলের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে চার জন। তিনি নিজেও একই সঙ্গে তিনটি রেল স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান।

জয়পুরহাট স্টেশনের মূল দায়িত্ব হলেও অতিরিক্ত হিসেবে তিলকপুর স্টেশন ও সান্তাহার স্টেশনের মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ফলে স্টেশনগুলোর নিয়মিত তদারকি করতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। সমস্যাগুলো নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা পত্র দেওয়া হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।