নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, জনগণ সবসময়ই শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল তেমনি তিনিও কখনো জনগণকে দূরে রাখেননি। শুধু ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড নয়। এর পরও শেখ হাসিনা যাতে দেশে না আসতে পারে তার প্রচেষ্টাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জনগণের শক্তিতে হাজার বাধার মধ্যেও শেখ হাসিনা ফিরে এসেছেন। তাকে কেউ আটকিয়ে রাখতে পারেনি।
শনিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এর চেয়ে কোনো চাবুক বাঙালির পিঠে পড়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমরা এমনই এক দেশে বসবাস করি যে দেশটি এনে দিয়েছেন আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে বাংলায় কথা বলা ও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা লোকরাই কিন্তু হত্যা করেছে। তারপর থেকে একের পর এক দৃশ্যপট যে পরিবর্তন হয়েছে তাতেই বাঙালির অশুভ আঁতাতের ঘটনা ফুটে উঠেছে।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, এত রক্ত ও বাঁধার মধ্যে শেখ হাসিনা যেভাবে ফিরে এসেছেন সেভাবেই তিনি পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে, মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সর্বতোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান বাস্তবায়নে সর্বতোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সেগুলো বাস্তবায়নেও কাজ করে চলেছেন। আজকে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মানুষের এই মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এসেছেন। তিনি এসে ৮১ সালে এই দলের হাল ধরেছেন।
সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এ সময় বলেন, ১৫ অগাস্ট আমাদের জন্য লজ্জা, ঘৃণা ও অপমানের চাবুক। এর চাইতে কোনো চাবুক বাঙালির পিঠে পড়েছে কিনা, তা আমার জানা নেই। আমরা এমনই এক দেশে বসবাস করি যে দেশটি এনে দিয়েছেন আমাদের জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে বাংলায় কথা বলা ও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা লোকই কিন্তু হত্যা করেছে। তারপর থেকে একের পর এক দৃশ্যপট যে পরিবর্তন হয়েছে তাতেই বাঙালির অশুভ আঁতাতের ঘটনা ফুটে উঠেছে। কিন্তু তারপরও বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পিতার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এসেছেন। তিনি এসে ৮১ সালে এই দলের হাল ধরেছেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা জানি মানুষের চাহিদার কোন শেষ নেই, উন্নয়নেরও কোন শেষ নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উন্নয়নের চাহিদা অবশ্যই থাকবে। না হলে মানুষ এগোতে পারবে না। মানুষই তার উন্নয়ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সর্বতোভাবে সে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন এবং যাবেন। এখন আমাদের শুধু তার সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবেই সে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।
ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিস) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।