নিজস্ব প্রতিবেদক :
জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে নির্বাচিত কাউকে জনগণ পাঁচ বছর কেন পাঁচদিনও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করুন। সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। জাতিকে আর বিশ্ববাসীর কাছে খাটো করবেন না। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে দেশকে আর ঠেলে দেবেন না।
আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দেশে একটি তামাশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সবকিছুতেই জাতির সঙ্গে তামাশা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে প্রকৃত ভোটারের গড় উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। পিঠা ভাগাভাগির এ নির্বাচনে সরকারি দল নিজেদের মধ্যেও ভাগাভাগি সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি। যার কারণে স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থীরা হাইকোর্টে পর্যন্ত রিট করেছে, নির্বাচন বয়কট করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভুল করেনি। ৭ জানুয়ারি সরকার নয়, জনগণের বিজয় হয়েছে। বিজয়ী জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলোকে বাদ রেখে সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ ও মন্ত্রিসভা গঠন করেছে তার বৈধতা জনগণ দেবে না।
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির শায়খুল হাদিস মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, এই নির্বাচন কোনো ভালো নির্বাচন হয়নি। জনগণ এই নির্বাচন মানে না, জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ২৬ জনের যে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে, জনগণ তা মানে না।
আহমদ আলী কাসেমী বলেন, এই নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারকে জনগণ পাঁচ বছর কেন, পাঁচ দিনও দেখতে চায় না।
সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের মাঠে থাকতে হবে। জনগণের নির্বাচন প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।