নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনগণের রোষানলে পড়ার আগেই নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক।

শনিবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামোর মেরামতের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রফেসর ইউনূস দেশের একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আপনার কাছে আমাদের অনেক আশা-ভরসা। ক্ষমতা গ্রহণের নয় মাস পার হলো, এখনও কেন করিডরের প্রশ্ন আসে? অথচ দেশের যে সংস্কার প্রয়োজন, তা তারেক রহমান অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছে। অত বড় বড় সংস্কার না দিয়ে তার বিপরীতে দেশের মানুষ আপনার কাছে আশা নিয়ে রয়েছে। দেশে হাসিনার মনোনীত নির্বাচন কমিশনের অধীনের আর কোনো ভোট হবে না। এখন আপনার মধ্য দিয়েই দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে, নির্বাচন দিতে যেন একটু পিছপা হচ্ছেন।

বিরোধীদলের সাবেক এ চিফ হুইপ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা আপনাকে নিয়ে অহংকার করি, সেই অহংকার চূর্ণ-বিচূর্ণ করবেন না। পাথরে ধাক্কা না খেলে নদী দিক পরিবর্তন করে না। তাই জনগণের রোষানলে পড়ার আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনাকে সংস্কার না করে দেশের মানুষকে সংস্কার করলে ভালো হয়। বিএনপি ধৈর্যশীল ও তারেক রহমানের কথা মানার দল। গত ১৭ বছর ধরে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলো আন্দোলন করেছে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য।

বিরোধীদলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, আমরা আপনাকে নিয়ে অহংকার করি, সেই অহংকারকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করবেন না। পাথরের ধাক্কা না খেলে নদী দিক পরিবর্তন করে না। তাই জনগণের রোষাণলে পড়ার আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

ফারুক বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো নেতাকে শেখ হাসিনা অপমান করেছে। তার স্ত্রী, সন্তানের প্রতি দিনের পর দিন অত্যাচার করেছে। কিন্তু বিএনপির সংযম কম না। তবে বিএনপির মনে একটা কষ্ট এখন আছে। এত আন্দোলন,পরিশ্রমের পর ৯ মাস অতিবাহিত হওয়ার আগে নির্বাচন আশা করেছিলাম।

ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের ওপর নাখোশ ভারত। তবে, অভ্যুত্থানে গণহত্যা নিয়ে তাদের কোনো দুঃখ নেই। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ওপর করা অন্যায়ও দিল্লি দেখেনি।

সংগঠনের সভাপতি ডা. মোঃ আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম জামাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।