Dhaka রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণের প্রত্যাশা মতো গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না : উপদেষ্টা নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যে টাকা লুটপাট করেছে, সে টাকা এখন গুজব ছাড়াতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে বলে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, দেশে এবং দেশের বাইরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিদিনই আছে। ফ্যাসিস্ট সরকার যে টাকা লুটপাট করেছে, সে টাকা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে।

সোমবার কয়েকটি কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে হতাহত নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ফেসবুক এনালাইসিস করেন তাহলে দেখবেন, গতকাল সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্ররা নিহত হয়েছে বলে বিগত সরকারের দলীয় কর্মীরা ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন। মূলত তারা যে কোনোভাবে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, উত্তেজনা তৈরি করতে চায়। সেই ষড়যন্ত্র প্রতিদিনই সরকারের বিরুদ্ধে আছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যে টাকা লুটপাট করেছে, সে টাকা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে দেশে এবং দেশের বাইরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুজব ছাড়ানোর জন্য।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সেই জায়গায় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক বেশি। তারা যদি দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ মনে রাখবে। আমাদের এই পরিবর্তনের সময়ে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম একটা বড় জায়গা। ষড়যন্ত্র আছে, সেই ষড়যন্ত্র আমরা উড়িয়ে দিতে চাই না। আমরা আমাদের যে দায়িত্ব ও করণীয় সেটা করছি। আমরা আপনাদের সমালোচনা নিচ্ছি ও সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কি এরকমই থাকবে না কি আরও কঠোর অবস্থানে যাবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি তো পরিবর্তন হবে। আমরা পুলিশ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। পুলিশ সংস্কার কমিশন আছে, তারা সুপারিশ করছে। সবাইকে বুঝতে হবে আমরা বিপ্লব পরবর্তী অবস্থার মধ্যে আছি। বিপ্লবের মধ্যেই ল’ অ্যান্ড অর্ডারের পরিবর্তন হয়। তবে সেটা তৈরি করতে কিছু দিন সময় লাগবে।

তিনি বলেন, যে কোনো দেশে বিপ্লব পরবর্তী ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে জনগণের ভেতরে যে নানা ধরনের শক্তির অংশ থাকে, তাদের অনেক ভূমিকা রাখতে হয়। যেমন সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সহায়তা দরকার, সেটা আমরা বরাবর চাচ্ছি। পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে। তবে নিপীড়কের ভূমিকায় না যায় বা আমরা একটা পুলিশি রাষ্ট্র যেভাবে দেখেছি, সেটা আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা উভয় সংকটের মধ্যে আছি। আমরা আশা করছি, সে জায়গা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। আমরা কখনোই চাই না পুলিশ জনগণের বিপক্ষে, ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড়াক, আন্দোলনে গুলি চালাক। অবশ্যই পুলিশ জনগণকে নিরাপত্তা দেবে, সে জায়গায় পুলিশ কঠোর হবে।

উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতা নিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের ধোঁয়াশা বিদ্যমান। এক সময় মানুষ টিভি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিল, কারণ আগেই জানত কী বলা হবে। গণমাধ্যমের ওপর মানুষের বিশ্বাস অনেকটাই কমে গিয়েছিল। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছিল। আর্থিক সুবিধাও নিতো অনেকে। বিগত সরকারের সাথে যেভাবে দোসর হিসেবে কাজ করত, তা আসলে ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগের থিঙ্কট্যাঙ্ক সিআরআইয়ের হয়ে তারা কাজ করত।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ সময় বলেন, ‘আন্দোলনের সময় অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে, সেজন্য দুঃখিত।’

বিভিন্ন মিডিয়ায় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘তাদের বিষয় ওই হাউজগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেউ তখন কিছু করতে বাধ্য হলে, এখন ভুল স্বীকার করুক। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর এই দিকের লোক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তা হবে না।’

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয় একটা স্বাধীনতা দিতে চায়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নিষেধ থাকবে না। কিন্তু সাংবাদিকরা কীভাবে গণমাধ্যমকে দেখতে চায় তাও গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সবার সাথে কথা বলে প্রতিবেদন দেবে। তারপর মন্ত্রণালয় আবার সবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে। সবাইকে নিয়েই সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায়।’

গণমাধ্যমের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিটিভিও কিন্তু সরকারের সমালোচনা করছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণমাধ্যম থেকে চাওয়া অনুযায়ী সহায়তা পাচ্ছি না। ফ্যাসিস্টের দোসররা করবে না তা ঠিক। কিন্তু গতকালকের ঘটনায়ই গণমাধ্যম সঠিক খবর দেয়নি। অনেকে বলে দিল ৫/৭ জন মারা গেছে, তা তো সঠিক নয়। তার আগের দিন বলা হলো, ২২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসলে তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঘটনায় ল এন্ড অর্ডারের যে পরিস্থিতি হয়েছে, তা সরকার দেখবে এবং যথাযথ ভুমিকা পালন করবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সময়ে নানা গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাও সত্য। গণমাধ্যমের উচিত জনগণের কাছে এসব বিষয় স্পস্ট করা। পত্রিকা অফিসে হামলা-ভাংচুর হলে সরকার মেনে নেবে না, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু মানুষ যেন বাধা ছাড়া ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের লাঠি-পেটা করে সরিয়ে দেওয়ার কিছু নেই।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সীমানা পুননির্ধারণে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজের চেষ্টা করা হয়েছে : সিইসি

জনগণের প্রত্যাশা মতো গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না : উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশের সময় : ০৩:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যে টাকা লুটপাট করেছে, সে টাকা এখন গুজব ছাড়াতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে বলে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, দেশে এবং দেশের বাইরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিদিনই আছে। ফ্যাসিস্ট সরকার যে টাকা লুটপাট করেছে, সে টাকা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে।

সোমবার কয়েকটি কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে হতাহত নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ফেসবুক এনালাইসিস করেন তাহলে দেখবেন, গতকাল সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্ররা নিহত হয়েছে বলে বিগত সরকারের দলীয় কর্মীরা ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন। মূলত তারা যে কোনোভাবে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, উত্তেজনা তৈরি করতে চায়। সেই ষড়যন্ত্র প্রতিদিনই সরকারের বিরুদ্ধে আছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যে টাকা লুটপাট করেছে, সে টাকা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে দেশে এবং দেশের বাইরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুজব ছাড়ানোর জন্য।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সেই জায়গায় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক বেশি। তারা যদি দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ মনে রাখবে। আমাদের এই পরিবর্তনের সময়ে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম একটা বড় জায়গা। ষড়যন্ত্র আছে, সেই ষড়যন্ত্র আমরা উড়িয়ে দিতে চাই না। আমরা আমাদের যে দায়িত্ব ও করণীয় সেটা করছি। আমরা আপনাদের সমালোচনা নিচ্ছি ও সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কি এরকমই থাকবে না কি আরও কঠোর অবস্থানে যাবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি তো পরিবর্তন হবে। আমরা পুলিশ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। পুলিশ সংস্কার কমিশন আছে, তারা সুপারিশ করছে। সবাইকে বুঝতে হবে আমরা বিপ্লব পরবর্তী অবস্থার মধ্যে আছি। বিপ্লবের মধ্যেই ল’ অ্যান্ড অর্ডারের পরিবর্তন হয়। তবে সেটা তৈরি করতে কিছু দিন সময় লাগবে।

তিনি বলেন, যে কোনো দেশে বিপ্লব পরবর্তী ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে জনগণের ভেতরে যে নানা ধরনের শক্তির অংশ থাকে, তাদের অনেক ভূমিকা রাখতে হয়। যেমন সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সহায়তা দরকার, সেটা আমরা বরাবর চাচ্ছি। পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে। তবে নিপীড়কের ভূমিকায় না যায় বা আমরা একটা পুলিশি রাষ্ট্র যেভাবে দেখেছি, সেটা আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা উভয় সংকটের মধ্যে আছি। আমরা আশা করছি, সে জায়গা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। আমরা কখনোই চাই না পুলিশ জনগণের বিপক্ষে, ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড়াক, আন্দোলনে গুলি চালাক। অবশ্যই পুলিশ জনগণকে নিরাপত্তা দেবে, সে জায়গায় পুলিশ কঠোর হবে।

উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতা নিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের ধোঁয়াশা বিদ্যমান। এক সময় মানুষ টিভি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিল, কারণ আগেই জানত কী বলা হবে। গণমাধ্যমের ওপর মানুষের বিশ্বাস অনেকটাই কমে গিয়েছিল। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছিল। আর্থিক সুবিধাও নিতো অনেকে। বিগত সরকারের সাথে যেভাবে দোসর হিসেবে কাজ করত, তা আসলে ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগের থিঙ্কট্যাঙ্ক সিআরআইয়ের হয়ে তারা কাজ করত।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ সময় বলেন, ‘আন্দোলনের সময় অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে, সেজন্য দুঃখিত।’

বিভিন্ন মিডিয়ায় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘তাদের বিষয় ওই হাউজগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেউ তখন কিছু করতে বাধ্য হলে, এখন ভুল স্বীকার করুক। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর এই দিকের লোক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তা হবে না।’

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয় একটা স্বাধীনতা দিতে চায়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নিষেধ থাকবে না। কিন্তু সাংবাদিকরা কীভাবে গণমাধ্যমকে দেখতে চায় তাও গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সবার সাথে কথা বলে প্রতিবেদন দেবে। তারপর মন্ত্রণালয় আবার সবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে। সবাইকে নিয়েই সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায়।’

গণমাধ্যমের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিটিভিও কিন্তু সরকারের সমালোচনা করছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণমাধ্যম থেকে চাওয়া অনুযায়ী সহায়তা পাচ্ছি না। ফ্যাসিস্টের দোসররা করবে না তা ঠিক। কিন্তু গতকালকের ঘটনায়ই গণমাধ্যম সঠিক খবর দেয়নি। অনেকে বলে দিল ৫/৭ জন মারা গেছে, তা তো সঠিক নয়। তার আগের দিন বলা হলো, ২২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসলে তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঘটনায় ল এন্ড অর্ডারের যে পরিস্থিতি হয়েছে, তা সরকার দেখবে এবং যথাযথ ভুমিকা পালন করবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সময়ে নানা গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাও সত্য। গণমাধ্যমের উচিত জনগণের কাছে এসব বিষয় স্পস্ট করা। পত্রিকা অফিসে হামলা-ভাংচুর হলে সরকার মেনে নেবে না, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু মানুষ যেন বাধা ছাড়া ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের লাঠি-পেটা করে সরিয়ে দেওয়ার কিছু নেই।’