Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণের প্রতি সরকারের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে আন্দোলন থামানো যাবে না : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বনে, অবৈধ ক্ষমতার প্রতি শেখ হাসিনার লালসার কারণে গণতন্ত্রের পায়ে বেড়ি। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এখন নির্বাক মৌনতায় পরিণত করার চেষ্টায় মানুষের মনে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। জনগণের প্রতি সরকারের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে আন্দোলন থামানো যাবে না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার লুটপাট আর দুঃশাসনের কারণে লাগামহীনভাবে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। দেশে এখন সবচেয়ে নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতি এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি আর সবচেয়ে মূল্যহীন গণতন্ত্রকামী জনগণের মতামত। একদিকে হামলা মামলা নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে, গুম, খুন, অপহরণ করে ভিন্ন দল ও মতের মানুষকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা। অপরদিকে শেখ হাসিনার বিনা ভোটের সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য বাংলাদেশ নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারার হাট বসেছে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থের প্রতি তোয়াক্কা না করে বহিঃর্বিশ্বের যাকে যা দিয়ে খুশি রাখা যায় শেখ হাসিনা তাই করছেন, তাই দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার এখন একদলীয় কতৃর্ত্ববাদী দেশের কাছ থেকেও গণতন্ত্রের সার্টিফিকেট নিচ্ছে।

আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশের অবৈধ, ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট কয়েকদিন আগেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে যে জালিয়াতি হয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে বলেছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তারা কোনো ছাড় দিয়েছে বলে আমার জানা।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন, একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছেন- এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের তো সম্পর্ক থাকতে পারে। তারা তো অবৈধ, ডামি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এই কথা বলেনি। রাশিয়ার সঙ্গে কী পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক নেই? চীনের সঙ্গে কী বাণিজ্যক সম্পর্ক নেই? আছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমেরিকার যে কমিটমেন্ট সেখানে তারা সরে আসেনি। এখান যে নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনী সহিংসতা সেটা নিয়ে তারা আগের অবস্থানে রয়েছে।

তিনি বলেন, বহু কর্তৃত্ববাদী দেশের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক রয়েছে। একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটি রাষ্ট্রের যে সম্পর্ক থাকে, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক থাকে। দেশের জনগণ তো স্বাধীনতাকে জিম্মি করে নাই। তারা দেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে।

বাংলাদেশের ও মিয়ারমান সীমান্তে গোলাগুলি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত।

রিজভী বলেন, ঋণের টাকায় কানাডার বেগম পাড়া, আমেরিকায় বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি-ব্যবসা, দুবাই সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমসহ তিন মহাদেশে সম্পদের পাহাড় গড়া হয়েছে। সুইস ব্যাংকে ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ কার কার নতুন একাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে সেটিও অনবগত নয় অনেকের কাছে। আওয়ামী লুটেরাদের দেশে বহুতল বাড়ি, বিলাসী গাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্য, জীবন যাপনে জৌলুস উপচে পড়ছে। আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ ফতুর হয়ে খেয়ে না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। তিন বেলা খাওয়ার সাধ্য কেড়ে নিয়েছে লুটেরা সরকার। গরিবের বাঁচা-মরার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি জরুরি পণ্যের দাম উল্কার গতিতে বেড়েই চলেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

জনগণের প্রতি সরকারের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে আন্দোলন থামানো যাবে না : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বনে, অবৈধ ক্ষমতার প্রতি শেখ হাসিনার লালসার কারণে গণতন্ত্রের পায়ে বেড়ি। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এখন নির্বাক মৌনতায় পরিণত করার চেষ্টায় মানুষের মনে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। জনগণের প্রতি সরকারের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে আন্দোলন থামানো যাবে না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার লুটপাট আর দুঃশাসনের কারণে লাগামহীনভাবে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। দেশে এখন সবচেয়ে নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতি এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি আর সবচেয়ে মূল্যহীন গণতন্ত্রকামী জনগণের মতামত। একদিকে হামলা মামলা নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে, গুম, খুন, অপহরণ করে ভিন্ন দল ও মতের মানুষকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা। অপরদিকে শেখ হাসিনার বিনা ভোটের সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য বাংলাদেশ নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারার হাট বসেছে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থের প্রতি তোয়াক্কা না করে বহিঃর্বিশ্বের যাকে যা দিয়ে খুশি রাখা যায় শেখ হাসিনা তাই করছেন, তাই দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার এখন একদলীয় কতৃর্ত্ববাদী দেশের কাছ থেকেও গণতন্ত্রের সার্টিফিকেট নিচ্ছে।

আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশের অবৈধ, ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট কয়েকদিন আগেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে যে জালিয়াতি হয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে বলেছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তারা কোনো ছাড় দিয়েছে বলে আমার জানা।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন, একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছেন- এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের তো সম্পর্ক থাকতে পারে। তারা তো অবৈধ, ডামি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এই কথা বলেনি। রাশিয়ার সঙ্গে কী পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক নেই? চীনের সঙ্গে কী বাণিজ্যক সম্পর্ক নেই? আছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমেরিকার যে কমিটমেন্ট সেখানে তারা সরে আসেনি। এখান যে নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনী সহিংসতা সেটা নিয়ে তারা আগের অবস্থানে রয়েছে।

তিনি বলেন, বহু কর্তৃত্ববাদী দেশের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক রয়েছে। একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটি রাষ্ট্রের যে সম্পর্ক থাকে, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক থাকে। দেশের জনগণ তো স্বাধীনতাকে জিম্মি করে নাই। তারা দেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে।

বাংলাদেশের ও মিয়ারমান সীমান্তে গোলাগুলি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত।

রিজভী বলেন, ঋণের টাকায় কানাডার বেগম পাড়া, আমেরিকায় বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি-ব্যবসা, দুবাই সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমসহ তিন মহাদেশে সম্পদের পাহাড় গড়া হয়েছে। সুইস ব্যাংকে ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ কার কার নতুন একাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে সেটিও অনবগত নয় অনেকের কাছে। আওয়ামী লুটেরাদের দেশে বহুতল বাড়ি, বিলাসী গাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্য, জীবন যাপনে জৌলুস উপচে পড়ছে। আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ ফতুর হয়ে খেয়ে না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। তিন বেলা খাওয়ার সাধ্য কেড়ে নিয়েছে লুটেরা সরকার। গরিবের বাঁচা-মরার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি জরুরি পণ্যের দাম উল্কার গতিতে বেড়েই চলেছে।