Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণকে দেখাতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সিইসি হিসেবে অনুরোধ থাকবে, অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নির্বাচনটা ফেয়ার হয়েছে এটা জনগণকে দেখাতে হবে। জনগণকে দেখাতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে। পুলিশ এবং নির্বাহী প্রশাসনের ভূমিকা ও গুরুত্ব নির্বাচনে অপরিসীম।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি অনেককেই বলি, যখন আমরা সরকার বলি, সরকার বলতে আমরা এসপি এবং ডিসিকেই বুঝি, ছোট বেলা থেকেই, শৈশব থেকেই। ছোট্ট যে সরকারটা পড়ে আছে কেবিনেটে, ওটার সঙ্গে আমাদের জনগণের সংশ্রব ওভাবে হয় না। কাজেই আপনাদের চিত্তে ধারণ করতে হবে যে, আপনারা সরকারকে ধারণ করছেন। আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। এটাও কিন্তু মস্তিস্কে ধারণ করতে হবে যে, এতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া আমি কেবল ভাগ্যের কথা বলবো না, আপনাদের গুণের ব্যাপার। আপনারা কোয়ালিফাই করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এটা অহংকার করার বিষয় নয়, সন্তুষ্টি প্রকাশ করার বিষয়। কারণ ইউ হ্যাভ টু বি ইক্যুয়াল টু দি রেসপন্সিবিলিটি…।

সিইসি বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন কর্মযজ্ঞ। খুব সহজ নয়। চাইলাম হয়ে গেল এরকম নয়। আপনারা যারা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এবং আপনাদের সহকর্মীদের উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর অনেকটা ঘুমই হারাম হয়ে যাবে, আমাদেরও। যেহেতু এই দায়িত্ব আপনাদের এবং আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, কাজেই দায়িত্বটা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার অর্থ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রায় ১২শ নির্বাচন আমরা করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, এতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তা-ভাবনার ঊর্ধ্ব থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। কোনো অনিয়ম, সহিংসতা হবে না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

এসময় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, আগামী নভেম্বর মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তিনি সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাই মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে কর্মকর্তাদের প্রতি তাগিদ দেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগে. জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি আহসান হাবিব বলেন, অতীত নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা করা আমি পছন্দ করি না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে চলুন আমরা সকলে মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের এমন উদাহরণ সৃষ্টি করি, যা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

আহসান হাবিব বলেন, আমার দৃষ্টিতে আপনারাই হচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের বিশ্বস্ত সহায়তাকারী এবং আপনারাই আমাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আমাদের শপথ নেবার পর সহস্রাধিক নির্বাচনে শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আন্তরিকতার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারকে সহযোগিতা করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিটি নির্বাচনই কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, মো.আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

জনগণকে দেখাতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে : সিইসি

প্রকাশের সময় : ১২:১৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সিইসি হিসেবে অনুরোধ থাকবে, অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নির্বাচনটা ফেয়ার হয়েছে এটা জনগণকে দেখাতে হবে। জনগণকে দেখাতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে। পুলিশ এবং নির্বাহী প্রশাসনের ভূমিকা ও গুরুত্ব নির্বাচনে অপরিসীম।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি অনেককেই বলি, যখন আমরা সরকার বলি, সরকার বলতে আমরা এসপি এবং ডিসিকেই বুঝি, ছোট বেলা থেকেই, শৈশব থেকেই। ছোট্ট যে সরকারটা পড়ে আছে কেবিনেটে, ওটার সঙ্গে আমাদের জনগণের সংশ্রব ওভাবে হয় না। কাজেই আপনাদের চিত্তে ধারণ করতে হবে যে, আপনারা সরকারকে ধারণ করছেন। আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। এটাও কিন্তু মস্তিস্কে ধারণ করতে হবে যে, এতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া আমি কেবল ভাগ্যের কথা বলবো না, আপনাদের গুণের ব্যাপার। আপনারা কোয়ালিফাই করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এটা অহংকার করার বিষয় নয়, সন্তুষ্টি প্রকাশ করার বিষয়। কারণ ইউ হ্যাভ টু বি ইক্যুয়াল টু দি রেসপন্সিবিলিটি…।

সিইসি বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন কর্মযজ্ঞ। খুব সহজ নয়। চাইলাম হয়ে গেল এরকম নয়। আপনারা যারা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এবং আপনাদের সহকর্মীদের উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর অনেকটা ঘুমই হারাম হয়ে যাবে, আমাদেরও। যেহেতু এই দায়িত্ব আপনাদের এবং আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, কাজেই দায়িত্বটা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার অর্থ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রায় ১২শ নির্বাচন আমরা করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, এতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তা-ভাবনার ঊর্ধ্ব থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। কোনো অনিয়ম, সহিংসতা হবে না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

এসময় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, আগামী নভেম্বর মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তিনি সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাই মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে কর্মকর্তাদের প্রতি তাগিদ দেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগে. জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি আহসান হাবিব বলেন, অতীত নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা করা আমি পছন্দ করি না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে চলুন আমরা সকলে মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের এমন উদাহরণ সৃষ্টি করি, যা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

আহসান হাবিব বলেন, আমার দৃষ্টিতে আপনারাই হচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের বিশ্বস্ত সহায়তাকারী এবং আপনারাই আমাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আমাদের শপথ নেবার পর সহস্রাধিক নির্বাচনে শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আন্তরিকতার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারকে সহযোগিতা করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিটি নির্বাচনই কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, মো.আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।