Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘জনকল্যাণমূলক কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দেওয়া যাবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, জনকল্যাণমূলক কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দেওয়া যাবে না। ২০২৪ সালকে রাজনৈতিকদেরও ধারণ করতে হবে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসরদের বের করে দক্ষ লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। তথ্য দিয়ে সরকারকে সাহায়তা করতে হবে।’

এ ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে চব্বিশের গণঅভ্যুথানকে ধারণ করার আহ্বান জানান তিনি।

অফিসার্স ক্লাবে উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে আসিফ মাহমুদ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আপনারা মতামত দিবেন। কীভাবে সংস্কার করলে বা কাঠামোগত পরিবর্তন করলে ভবিষ্যতে আর কখনও প্রশাসনে এতটা দলীয়করণ সম্ভব হবে না , ভবিষ্যতে এতোটা দলদাসের মতো কার্যক্রম হবে না, জনবিরোধী অবস্থান নিবে না সেটা নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের মতামত দেবেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও ফ্যাসিবাদের দোসরদের শেকড় অনেক গভীরে রয়ে গেছে। দলীয় নেতাদের দায়িত্ব পালন করেছে বিগত সরকারের কিছু কিছু প্রশাসন। তাই প্রশাসনে দলীয় দাসত্ব থেকে বের হতে সবার মতামত প্রয়োজন।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে বসতে পারছি, কথা বলতে পারছি। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ফেসবুকে একটা পোস্ট দিতে গেলে এখন আর বারবার ভাবতে হচ্ছে না, ব্যাকস্পেস দিয়ে কেটে দিতে হচ্ছে না। আমরা ভয়হীনভাবে আলোচনা-সমালোচনা করতে পারছি। রাষ্ট্র পুনর্গঠনে নিজেদের মতামত দিতে পারছি। সংস্কার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছি।

তিনি বলেন, আমরা নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছি এ দেশের মানুষকে নিয়ে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার। আমরা সবধরনের ফ্যাসিবাদীদের উপকরণ মুছে ফেলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। শুধু ২৪ জন উপদেষ্টা এবং একজন প্রধান উপদেষ্টাই কিন্তু সরকার না। আপনারাও সরকারের অন্যতম অংশ। আমাদের কাজ হচ্ছে পলিসিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর বাস্তবায়নের কাজ হচ্ছে মূলত আপনাদের।

বিগত সময়ে যে ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল, তাদের পলিসি গুলোই ছিল গণবিরোধী, গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং মানুষের জীবন নেয়ার মতো পলিসি ডিসিশন তারা দিয়েছে এবং প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

‘জনকল্যাণমূলক কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দেওয়া যাবে না’

প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, জনকল্যাণমূলক কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দেওয়া যাবে না। ২০২৪ সালকে রাজনৈতিকদেরও ধারণ করতে হবে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসরদের বের করে দক্ষ লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। তথ্য দিয়ে সরকারকে সাহায়তা করতে হবে।’

এ ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে চব্বিশের গণঅভ্যুথানকে ধারণ করার আহ্বান জানান তিনি।

অফিসার্স ক্লাবে উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে আসিফ মাহমুদ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আপনারা মতামত দিবেন। কীভাবে সংস্কার করলে বা কাঠামোগত পরিবর্তন করলে ভবিষ্যতে আর কখনও প্রশাসনে এতটা দলীয়করণ সম্ভব হবে না , ভবিষ্যতে এতোটা দলদাসের মতো কার্যক্রম হবে না, জনবিরোধী অবস্থান নিবে না সেটা নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের মতামত দেবেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও ফ্যাসিবাদের দোসরদের শেকড় অনেক গভীরে রয়ে গেছে। দলীয় নেতাদের দায়িত্ব পালন করেছে বিগত সরকারের কিছু কিছু প্রশাসন। তাই প্রশাসনে দলীয় দাসত্ব থেকে বের হতে সবার মতামত প্রয়োজন।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে বসতে পারছি, কথা বলতে পারছি। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ফেসবুকে একটা পোস্ট দিতে গেলে এখন আর বারবার ভাবতে হচ্ছে না, ব্যাকস্পেস দিয়ে কেটে দিতে হচ্ছে না। আমরা ভয়হীনভাবে আলোচনা-সমালোচনা করতে পারছি। রাষ্ট্র পুনর্গঠনে নিজেদের মতামত দিতে পারছি। সংস্কার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছি।

তিনি বলেন, আমরা নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছি এ দেশের মানুষকে নিয়ে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার। আমরা সবধরনের ফ্যাসিবাদীদের উপকরণ মুছে ফেলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। শুধু ২৪ জন উপদেষ্টা এবং একজন প্রধান উপদেষ্টাই কিন্তু সরকার না। আপনারাও সরকারের অন্যতম অংশ। আমাদের কাজ হচ্ছে পলিসিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর বাস্তবায়নের কাজ হচ্ছে মূলত আপনাদের।

বিগত সময়ে যে ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল, তাদের পলিসি গুলোই ছিল গণবিরোধী, গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং মানুষের জীবন নেয়ার মতো পলিসি ডিসিশন তারা দিয়েছে এবং প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে।