Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিমি যানজট

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মোগরাপাড়া পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হলেও ভোর থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত বেশ ভোগান্তিতে পড়েন এ পথের ঘরমুখো মানুষ।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে যানজটের এমনই চিত্রের দেখা মিলে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ রয়েছে। অনেকেই আবার ভ্রমণের উদ্দেশ্যেও বের হয়েছেন। ফলে সকাল থেকেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী সড়কে দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপও বেড়েছে। ভোর থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতি অসহনীয় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে যানজটের কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে কোথাও থেমে থেমে এবং কোথাও ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এদিকে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বাস-মলিকরা এমন অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। চট্টগ্রামের রেজাউর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত দেড়শত টাকা দিয়ে সিট পেয়েছি, তাও একেবারে পেছনের দিকে। ছুটির দিন এলেই কাউন্টার মালিকরা আমাদের পকেট কাটে। প্রতিবাদ করলে বলে সিট নাই। আমরা আসলে এই পরিবহন মাফিয়াদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি, কিছু করার নাই।

ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিমি যানজট

আলামিন হোসেন নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বলেন, টানা দুদিন বন্ধ থাকায় বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। কিন্তু যানজটের কারণে এখনো মদনপুরের সিগন্যালেই বসে আছি। শুনলাম মোঘরাপাড়া পর্যন্ত রাস্তায় জ্যাম আছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ মহাসড়ক দিয়েই চট্টগ্রাম যাওয়ার চেষ্টা করছি।

রফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে কক্সবাজার যাচ্ছি। কিন্তু কাঁচপুরে আসা মাত্রই তীব্র যানজটে আটকা পড়েছি। শুক্রবার এমন জট থাকে তা আগে জানা ছিল না। তাহলে বাসা থেকে বের হতাম না।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার বাসিন্দা জসীম উদ্দীন নামের এক যাত্রী জানান, সকাল ৭টায় রওনা হয়ে কাঁচপুর থেকে যানজটে মধ্যদিয়ে মেঘনায় এসেছি সকাল দশটায়। এই তিন ঘণ্টায় যানজট না থাকলে বাড়ি পৌঁছে যেতাম। অথচ এখনো মেঘনা টোল প্লাজা পেরোতে পারিনি। বাড়িতে মা অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাব। অথচ যানজটে আটকে আছি, জানিনা এভাবে আরো কত সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়?

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কের একাধিক পয়েন্টে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, মহাসড়কে প্রচুর যানবাহনের চাপ থাকায় সকাল থেকেই এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যানজট নিরসনের আমাদের হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি, দুপুরের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে যানজট নিরসনের মাধ্যমে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিমি যানজট

প্রকাশের সময় : ০২:০৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মোগরাপাড়া পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হলেও ভোর থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত বেশ ভোগান্তিতে পড়েন এ পথের ঘরমুখো মানুষ।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে যানজটের এমনই চিত্রের দেখা মিলে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ রয়েছে। অনেকেই আবার ভ্রমণের উদ্দেশ্যেও বের হয়েছেন। ফলে সকাল থেকেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী সড়কে দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপও বেড়েছে। ভোর থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতি অসহনীয় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে যানজটের কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে কোথাও থেমে থেমে এবং কোথাও ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এদিকে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বাস-মলিকরা এমন অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। চট্টগ্রামের রেজাউর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত দেড়শত টাকা দিয়ে সিট পেয়েছি, তাও একেবারে পেছনের দিকে। ছুটির দিন এলেই কাউন্টার মালিকরা আমাদের পকেট কাটে। প্রতিবাদ করলে বলে সিট নাই। আমরা আসলে এই পরিবহন মাফিয়াদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি, কিছু করার নাই।

ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিমি যানজট

আলামিন হোসেন নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বলেন, টানা দুদিন বন্ধ থাকায় বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। কিন্তু যানজটের কারণে এখনো মদনপুরের সিগন্যালেই বসে আছি। শুনলাম মোঘরাপাড়া পর্যন্ত রাস্তায় জ্যাম আছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ মহাসড়ক দিয়েই চট্টগ্রাম যাওয়ার চেষ্টা করছি।

রফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে কক্সবাজার যাচ্ছি। কিন্তু কাঁচপুরে আসা মাত্রই তীব্র যানজটে আটকা পড়েছি। শুক্রবার এমন জট থাকে তা আগে জানা ছিল না। তাহলে বাসা থেকে বের হতাম না।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার বাসিন্দা জসীম উদ্দীন নামের এক যাত্রী জানান, সকাল ৭টায় রওনা হয়ে কাঁচপুর থেকে যানজটে মধ্যদিয়ে মেঘনায় এসেছি সকাল দশটায়। এই তিন ঘণ্টায় যানজট না থাকলে বাড়ি পৌঁছে যেতাম। অথচ এখনো মেঘনা টোল প্লাজা পেরোতে পারিনি। বাড়িতে মা অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাব। অথচ যানজটে আটকে আছি, জানিনা এভাবে আরো কত সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়?

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কের একাধিক পয়েন্টে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, মহাসড়কে প্রচুর যানবাহনের চাপ থাকায় সকাল থেকেই এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যানজট নিরসনের আমাদের হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি, দুপুরের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে যানজট নিরসনের মাধ্যমে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।