Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : সাইফুর অর্জুন ও রবিউলের স্বীকারোক্তি

  • সিলেট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • ২২৫ জন দেখেছেন

: সাইফুর অর্জুন ও রবিউল

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার প্রধান তিন আসামী। এরা হলো সাইফুর, অর্জুন লস্কর ও রবিউল।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ছাড়াও অর্জুন লস্কর ও রবিউল জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে রিমান্ড শেষে আজ বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে হাজির করা হয় মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫) ও রবিউল ইসলামকে (২৫)। গত সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত।

এছাড়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আরও ৫ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আগামীকাল শনিবার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাজন মিয়া, আইনুদ্দিন ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে আইনুদ্দিন ও রাজন মিয়াকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : চুল দাড়ি গোঁফ কেটেও রেহাই পেল না তারেক

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নববধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই নববধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ভিক্টিমের স্বামী বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের শাহপরান থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগের এজহারনামীয় ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় মোট ৯ আসামির মধ্যে ৮ জনকেই গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। বাকি ১ অজ্ঞাত আসামিকে এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনিপাড়ার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : সাইফুর অর্জুন ও রবিউলের স্বীকারোক্তি

প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার প্রধান তিন আসামী। এরা হলো সাইফুর, অর্জুন লস্কর ও রবিউল।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ছাড়াও অর্জুন লস্কর ও রবিউল জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে রিমান্ড শেষে আজ বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে হাজির করা হয় মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫) ও রবিউল ইসলামকে (২৫)। গত সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত।

এছাড়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আরও ৫ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আগামীকাল শনিবার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাজন মিয়া, আইনুদ্দিন ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে আইনুদ্দিন ও রাজন মিয়াকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : চুল দাড়ি গোঁফ কেটেও রেহাই পেল না তারেক

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নববধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই নববধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ভিক্টিমের স্বামী বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের শাহপরান থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগের এজহারনামীয় ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় মোট ৯ আসামির মধ্যে ৮ জনকেই গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। বাকি ১ অজ্ঞাত আসামিকে এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনিপাড়ার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।