ফেনী জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে দসন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ করায় ফেনীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রেসক্লাব, বড় মসজিদ, খেজুর চত্বর, ফেনী মডেল থানা এলাকাসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম, মো. আজিজ, ওমর ফারুক শুভ, মো. সোহাগ, রাশেদসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, “ছাত্রলীগ বিগত দিনে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছে। তারা মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তারা নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আজ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।
ছাত্রদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে দ্বিতীয় দাবি হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ ও তাদের অন্য অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলোও নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
মো. আজিজ বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা যেসব জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে অন্তর্র্বতী সরকারকে সজাগ থাকতে হবে। ছাত্র-জনতা হত্যার সকল খুঁনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়তায় আনতে হবে।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র-জনতা একে অপরের মুখে মিষ্টি তুলে দিয়ে উল্লাস করে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে বুধবার রাতে ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্র্বতী সরকার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা ’হত্যা’ ও অসংখ্য মানুষের ‘জীবন বিপন্ন‘ করা এবং বিভিন্ন সময় ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।