Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে ইন্টার মিলান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • ২০২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লিগে ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মিলান ও বেনফিকার। প্রথম লেগে বেনফিকার মাঠে ইন্টার মিলান জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। তখন এই গল্পের শেষ কাব্য লেখা হয়ে ছিল একপ্রকার। কারন মিলানের অতীত ইতিহাস বলে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নকআউটে এগিয়ে যাওয়ার পর মিলান কখনো বাদ পড়েনি। এদিন ঘরের মাঠে ৩-৩ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ হলেও, হাসিটা হেসেছে সিরি আর ক্লাবটি। দুই লিগ মিলে ২ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইন্টারের প্রতিপক্ষ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলান।

ফিরতি লেগে স্বাগতিকদের উপর শুরু থেকেই চড়াও হয় পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা। বল দখলেও করেছে আধিপত্য। বেশ কয়েকবার মিলানের গোল মুখে আক্রমণ করেও সফলতা মিলাতে পাছিলো না পর্তুগিজ ক্লাবটি। উল্টো ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। লাওতারো মার্তিনেজের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বেনফিকা ডি বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান নিকোলো বারেল্লা।

তবে ৩৮ মিনিটেই সমতা নিয়ে আসে বেনফিকা। ইন্টার-রক্ষণের ভুলে পাহারাহীন ফ্রেডরিক অর্সনেস হেডে বল জালে পাঠান। এবারের আসরে নকআউটে ইন্টারের জালে এটি প্রথম গোল। এরপর প্রথমার্ধে আর কেউ গোলের দেখা না পেলে ১-১ সমতায় নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতিতে থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে উঠে খেলা। ৬৮ মিনিটে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজর গোলে ইতালিয়ান জায়ান্টদের এগিয়ে দেন। ৭৫ মিনিটে লাওতারোকে বদলি করে আরেক আর্জেন্টাইন জোয়াকিন কোরেয়াকে নামান ইন্টার কোচ। তিন মিনিট পর দলকে গোল এনে দেন কোরেয়াও।

৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে তখনই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টারের। তবে শেষের দিকে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে বেনফিকা। ৮৬ মিনিটে আন্তোনিও সিলভা দ্বিতীয় গোল এনে দেওয়ার পর ৯৫ মিনিটে আরেকটি গোল করেন পিটার মুসা। বিদায়ের আগে দ্বিতীয় লেগে ৩-৩ সমতার সান্ত্বনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। এতে দুই লেগ মিলে ২ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।

ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ বলেন, এটা হতে যাচ্ছে একটা স্পেশাল ডার্বি। আমরা সবাই জানি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে খেলতে যাওয়া এই ম্যাচটার অর্থ কি?

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এর আগে আরও দু’বার পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিলো এসি মিলান এবং ইন্টার মিলান। ২০০২-০৩ মৌসুমে সেমিফাইনালে এবং ২০০৪-০৫ কোয়ার্টার ফাইনালে। দু’বারই জয়ী দলটির নাম ছিল এসি মিলান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে ইন্টার মিলান

প্রকাশের সময় : ০২:২৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লিগে ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মিলান ও বেনফিকার। প্রথম লেগে বেনফিকার মাঠে ইন্টার মিলান জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। তখন এই গল্পের শেষ কাব্য লেখা হয়ে ছিল একপ্রকার। কারন মিলানের অতীত ইতিহাস বলে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নকআউটে এগিয়ে যাওয়ার পর মিলান কখনো বাদ পড়েনি। এদিন ঘরের মাঠে ৩-৩ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ হলেও, হাসিটা হেসেছে সিরি আর ক্লাবটি। দুই লিগ মিলে ২ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইন্টারের প্রতিপক্ষ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলান।

ফিরতি লেগে স্বাগতিকদের উপর শুরু থেকেই চড়াও হয় পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা। বল দখলেও করেছে আধিপত্য। বেশ কয়েকবার মিলানের গোল মুখে আক্রমণ করেও সফলতা মিলাতে পাছিলো না পর্তুগিজ ক্লাবটি। উল্টো ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। লাওতারো মার্তিনেজের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বেনফিকা ডি বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান নিকোলো বারেল্লা।

তবে ৩৮ মিনিটেই সমতা নিয়ে আসে বেনফিকা। ইন্টার-রক্ষণের ভুলে পাহারাহীন ফ্রেডরিক অর্সনেস হেডে বল জালে পাঠান। এবারের আসরে নকআউটে ইন্টারের জালে এটি প্রথম গোল। এরপর প্রথমার্ধে আর কেউ গোলের দেখা না পেলে ১-১ সমতায় নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতিতে থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে উঠে খেলা। ৬৮ মিনিটে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজর গোলে ইতালিয়ান জায়ান্টদের এগিয়ে দেন। ৭৫ মিনিটে লাওতারোকে বদলি করে আরেক আর্জেন্টাইন জোয়াকিন কোরেয়াকে নামান ইন্টার কোচ। তিন মিনিট পর দলকে গোল এনে দেন কোরেয়াও।

৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে তখনই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টারের। তবে শেষের দিকে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে বেনফিকা। ৮৬ মিনিটে আন্তোনিও সিলভা দ্বিতীয় গোল এনে দেওয়ার পর ৯৫ মিনিটে আরেকটি গোল করেন পিটার মুসা। বিদায়ের আগে দ্বিতীয় লেগে ৩-৩ সমতার সান্ত্বনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। এতে দুই লেগ মিলে ২ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।

ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ বলেন, এটা হতে যাচ্ছে একটা স্পেশাল ডার্বি। আমরা সবাই জানি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে খেলতে যাওয়া এই ম্যাচটার অর্থ কি?

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এর আগে আরও দু’বার পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিলো এসি মিলান এবং ইন্টার মিলান। ২০০২-০৩ মৌসুমে সেমিফাইনালে এবং ২০০৪-০৫ কোয়ার্টার ফাইনালে। দু’বারই জয়ী দলটির নাম ছিল এসি মিলান।