Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীন সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

প্রায় ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীন সফরে গেলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এ সফর করছেন।

বৃহস্পতিবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন। তিনি প্রথমে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হাংঝু শহরে পৌঁছান। সেখানে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন। ওই অনুষ্ঠানে আরও এক ডজনের বেশি বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম চীন সফরে গেলেন আসাদ। সিরিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গৃহহীন হয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ। এ ছাড়া সিরিয়ার অবকাঠামো ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বারা একঘরে হয়ে পড়া নেতাদের মধ্যে সর্বশেষ নেতা হলেন আসাদ, যিনি চীন সফরে গেলেন।

এ ক্ষেত্রে ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরো, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন, যাঁরা সবাই এ বছর চীন সফর করছেন।

সিরিয়ার নেতা শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য এক ডজনেরও বেশি বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগ দেবেন। তবে এর আগে চীনের কয়েকটি শহরে বৈঠকে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

এদিকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেন আসাদ। পরবর্তীতে রবিবার ও সোমবার বেইজিংয়ে দেশটির কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন এই নেতা।

সফরে চীনা বিনিয়োগের জন্য চেষ্টা করবেন আসাদ। তবে সিরিয়ায় চীনা বা অন্য কোনো বিদেশি বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

এ সফরকালে আসাদ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও বিভিন্ন শহরে যাবেন এবং দেশটির অনেক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন। এবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছে একটি উঁচু পর্যায়ের রাজনৈতিক ও বাণিজ্য প্রতিনিধি দল।

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্ভাব্য এই বৈঠককে চীন ও সিরিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশলগত মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সফরের মধ্যদিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে যে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে এবং এ অঞ্চলে বেইজিং নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চায়।

১২ বছর আগে সিরিয়ায় যখন বিভিন্ন উগ্রবাদী গোষ্ঠীর বর্বরতা শুরু হয় এবং আমেরিকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্র করছিল তখন চীন দামেস্কের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়। এরপর এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে বলা হয়েছে- সিরিয়ার অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে চীন সহযোগিতা করবে এবং নানান রকমের পুনর্গঠনমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রথম দুই ঘণ্টায় ২ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে হাজারের বেশি

চীন সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

প্রায় ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীন সফরে গেলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এ সফর করছেন।

বৃহস্পতিবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন। তিনি প্রথমে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হাংঝু শহরে পৌঁছান। সেখানে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন। ওই অনুষ্ঠানে আরও এক ডজনের বেশি বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম চীন সফরে গেলেন আসাদ। সিরিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গৃহহীন হয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ। এ ছাড়া সিরিয়ার অবকাঠামো ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বারা একঘরে হয়ে পড়া নেতাদের মধ্যে সর্বশেষ নেতা হলেন আসাদ, যিনি চীন সফরে গেলেন।

এ ক্ষেত্রে ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরো, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন, যাঁরা সবাই এ বছর চীন সফর করছেন।

সিরিয়ার নেতা শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য এক ডজনেরও বেশি বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগ দেবেন। তবে এর আগে চীনের কয়েকটি শহরে বৈঠকে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

এদিকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেন আসাদ। পরবর্তীতে রবিবার ও সোমবার বেইজিংয়ে দেশটির কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন এই নেতা।

সফরে চীনা বিনিয়োগের জন্য চেষ্টা করবেন আসাদ। তবে সিরিয়ায় চীনা বা অন্য কোনো বিদেশি বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

এ সফরকালে আসাদ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও বিভিন্ন শহরে যাবেন এবং দেশটির অনেক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন। এবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছে একটি উঁচু পর্যায়ের রাজনৈতিক ও বাণিজ্য প্রতিনিধি দল।

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্ভাব্য এই বৈঠককে চীন ও সিরিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশলগত মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সফরের মধ্যদিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে যে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে এবং এ অঞ্চলে বেইজিং নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চায়।

১২ বছর আগে সিরিয়ায় যখন বিভিন্ন উগ্রবাদী গোষ্ঠীর বর্বরতা শুরু হয় এবং আমেরিকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্র করছিল তখন চীন দামেস্কের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়। এরপর এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে বলা হয়েছে- সিরিয়ার অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে চীন সহযোগিতা করবে এবং নানান রকমের পুনর্গঠনমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।