আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের চংকিং শহরে দেখা দিয়েছে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধস। টানা বৃষ্টিতে নাকাল জনজীবন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া বুধবার (৫ জুলাই) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও চারজন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে সিনহুয়া জানায়, সোমবার (৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া মষুলধারে বৃষ্টিতে বুধবার (৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিম চংকিং পৌরসভায় ১৫ জন মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের বিশাল অংশজুড়ে সৃষ্ট দুর্যোগের জন্য সতর্কতা জারি করে প্রশাসন। এর মধ্যেই হতাহতের বিষয়টি সামনে এলো।

চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম চংকিং এলাকার একটি ভবন প্রচণ্ড স্রোতের আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে। জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, একই অঞ্চলে একটি রেলওয়ে সেতু ভেঙে পড়েছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্য হুনান প্রদেশ থেকে ১০ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে কয়েক ডজন ভবন ধসে পড়েছে। প্রায় আট কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। লিয়াওনিং, জিলিন এবং হেইলংজিয়াং প্রদেশসহ উত্তরাঞ্চলেও বন্যা সতর্কতা জারি রয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় জনগণের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

শি বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে। জনগণের নিরাপত্তার পাশাপাশি সম্পদ রক্ষা করতে হবে। যতটা সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

চীনা আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুলাই মাসে বন্যা, তীব্র বৈরী আবহাওয়া, টাইফুন এবং উচ্চ তাপমাত্রাসহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ দেখা দিতে পারে।

আকস্মিক বন্যায় গুরুত্বপূর্ণ পথ-ঘাট তলিয়ে চলা ফেরায় চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এদিকে পার্শ্ববর্তী সিচুয়ান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসে প্রবল বর্ষণের কারণে ৪ লাখ ৬০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ৮৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই সপ্তাহে কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রশাসন। সূত্র : সিনহুয়া।