Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিলমারীর বাজার যেন এখন কাদা পানির সড়ক, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চিলমারীর থানাহাট বাজার যেন এখন কাদা পানির সড়ক। কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর তবুও নেই উদ্যোগ। ভোগান্তিতে লাখ লাখ মানুষ। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হওয়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা আসছে না কাজে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পেড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সদর থানাহাট বাজারবাসী। ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। জনসাধারণ দুর্ভোগে থাকলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। শুধু আশ্বাস দিয়েই নীরব এলজিইডি।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। নদী বন্দর আর তিস্তা সেতু প্রকল্প হাতে নেয়ায় এগিয়ে যাবে চিলমারী ভাবছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা আর ভোগান্তি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে এলাকাবাসীকে।

সরজমিন মেলে উপজেলার সদর থানাহাট বাজারের সড়কের বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই থানাহাট বাজারের প্রধান সড়কসহ অলিগলির প্রায় সকল রাস্তা কাদা আর পানিতে একাকার হয়ে যায়। রনীমোড়ে দীর্ঘ সময় পানি আটকা পড়ায় বিপাকে পড়তে হয় যানবাহন চালকসহ পথচারীদের। পুরো সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কের বেশকিছু খানাখন্দ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনার অভাব সঙ্গে ড্রেন নির্মাণে দুর্নীতি আর অনিময়ের ফলে বেড়েছে ভোগান্তি। অপরিকল্পিত ও অনিয়মের মধ্যদিয়ে এলজিইডি’র অধীনে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজে আসছে না জনকল্যাণে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজে না আসায় ব্যবসায়ীসহ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে। নজর নেই কর্তৃপক্ষের।

অটো, ভ্যান, রিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা বলেন, সড়কের তো বেহাল দশা রয়েছে। এর উপর বৃষ্টি হলে বাজারে প্রবেশ করাই মুশকিল হয়ে পড়ে এবং সৃষ্টি হয় যানজট।

ব্যবসায়ী আসাদুল, মাহবুব, হাবিবসহ অনেকে বলেন, একে তো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না, তার উপর সড়কের দশা বেহাল। আমরা মালামাল আনতেও মুশকিলে পড়ি। শিক্ষার্থী সুরভী ও মাছুম বলেন, সড়কে অবস্থা খুবই খারাপ।

সড়কের বেহাল দশা নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, সমস্যার সমাধান করা হবে। আমাদের নজরে রয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জনগণের দুর্ভোগ দূর করতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।

Tag :

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

চিলমারীর বাজার যেন এখন কাদা পানির সড়ক, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চিলমারীর থানাহাট বাজার যেন এখন কাদা পানির সড়ক। কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর তবুও নেই উদ্যোগ। ভোগান্তিতে লাখ লাখ মানুষ। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হওয়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা আসছে না কাজে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পেড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সদর থানাহাট বাজারবাসী। ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। জনসাধারণ দুর্ভোগে থাকলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। শুধু আশ্বাস দিয়েই নীরব এলজিইডি।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। নদী বন্দর আর তিস্তা সেতু প্রকল্প হাতে নেয়ায় এগিয়ে যাবে চিলমারী ভাবছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা আর ভোগান্তি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে এলাকাবাসীকে।

সরজমিন মেলে উপজেলার সদর থানাহাট বাজারের সড়কের বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই থানাহাট বাজারের প্রধান সড়কসহ অলিগলির প্রায় সকল রাস্তা কাদা আর পানিতে একাকার হয়ে যায়। রনীমোড়ে দীর্ঘ সময় পানি আটকা পড়ায় বিপাকে পড়তে হয় যানবাহন চালকসহ পথচারীদের। পুরো সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কের বেশকিছু খানাখন্দ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনার অভাব সঙ্গে ড্রেন নির্মাণে দুর্নীতি আর অনিময়ের ফলে বেড়েছে ভোগান্তি। অপরিকল্পিত ও অনিয়মের মধ্যদিয়ে এলজিইডি’র অধীনে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজে আসছে না জনকল্যাণে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা কাজে না আসায় ব্যবসায়ীসহ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে। নজর নেই কর্তৃপক্ষের।

অটো, ভ্যান, রিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা বলেন, সড়কের তো বেহাল দশা রয়েছে। এর উপর বৃষ্টি হলে বাজারে প্রবেশ করাই মুশকিল হয়ে পড়ে এবং সৃষ্টি হয় যানজট।

ব্যবসায়ী আসাদুল, মাহবুব, হাবিবসহ অনেকে বলেন, একে তো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না, তার উপর সড়কের দশা বেহাল। আমরা মালামাল আনতেও মুশকিলে পড়ি। শিক্ষার্থী সুরভী ও মাছুম বলেন, সড়কে অবস্থা খুবই খারাপ।

সড়কের বেহাল দশা নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, সমস্যার সমাধান করা হবে। আমাদের নজরে রয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জনগণের দুর্ভোগ দূর করতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।