Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শাফিন আহমেদ

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • ২০০ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

বনানী কবরস্থানে বাবা সংগীতঙ্গ কমল দাশগুপ্তর কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছেলে ব্যান্ডশিল্পী শাফিন আহমেদ। এসময় পাশে ছিলেন ভাই তাহসিন আহমেদ ও হামিন আহমেদসহ স্বজন এবং মাইলস সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। শাফিনের কবরের পাশেই মা কিংবদন্তি নজরুলশিল্পী ফিরোজা বেগম শায়িত আছেন।

এর আগে, বাদ যোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে হয় শিল্পীর নামাজে জানাজা। যেখানে শিল্পীর পরিবারের সদস্যসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শাফিন আহমেদের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শাফিন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কুলখানি হবে আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর বনানী কবরস্থানের পাশে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে।

এদিকে, মৃত্যুর চার দিন পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাফিন আহমেদের মরদেহ ফিরেছে সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায়। এর আগে, গেল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে ভার্জিনিয়ার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে শাফিনের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে শেষ বিদায় জানাতে সেদিন দুই হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

বলা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের গান শোনাতে গেল ৯ জুলাই দেশ ছাড়েন শাফিন আহমেদ। দ্বিতীয় কনসার্ট ছিল ২০ জুলাই, ভার্জিনিয়ায়। সেই শোয়ের মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ আগেই হোটেল রুমে লুটিয়ে পড়েন এই ব্যান্ড তারকা। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি ও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সময় গেল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাফিন আহমেদ।

তার এই অকাল প্রস্থানে রেখে গেছেন দুই বড় ভাই তাহসিন ও হামিন, স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা, তিন পুত্র মাইসিম, আজরাফ ও রেহান এবং এক কন্যা রানিয়াকে। সঙ্গে অগুনতি ভক্ত, বন্ধু-স্বজন।

শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শাফিন আহমেদ

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

বনানী কবরস্থানে বাবা সংগীতঙ্গ কমল দাশগুপ্তর কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছেলে ব্যান্ডশিল্পী শাফিন আহমেদ। এসময় পাশে ছিলেন ভাই তাহসিন আহমেদ ও হামিন আহমেদসহ স্বজন এবং মাইলস সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। শাফিনের কবরের পাশেই মা কিংবদন্তি নজরুলশিল্পী ফিরোজা বেগম শায়িত আছেন।

এর আগে, বাদ যোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে হয় শিল্পীর নামাজে জানাজা। যেখানে শিল্পীর পরিবারের সদস্যসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শাফিন আহমেদের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শাফিন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কুলখানি হবে আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর বনানী কবরস্থানের পাশে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে।

এদিকে, মৃত্যুর চার দিন পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাফিন আহমেদের মরদেহ ফিরেছে সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায়। এর আগে, গেল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে ভার্জিনিয়ার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে শাফিনের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে শেষ বিদায় জানাতে সেদিন দুই হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

বলা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের গান শোনাতে গেল ৯ জুলাই দেশ ছাড়েন শাফিন আহমেদ। দ্বিতীয় কনসার্ট ছিল ২০ জুলাই, ভার্জিনিয়ায়। সেই শোয়ের মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ আগেই হোটেল রুমে লুটিয়ে পড়েন এই ব্যান্ড তারকা। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি ও লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সময় গেল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাফিন আহমেদ।

তার এই অকাল প্রস্থানে রেখে গেছেন দুই বড় ভাই তাহসিন ও হামিন, স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা, তিন পুত্র মাইসিম, আজরাফ ও রেহান এবং এক কন্যা রানিয়াকে। সঙ্গে অগুনতি ভক্ত, বন্ধু-স্বজন।

শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।