নিজস্ব প্রতিবেদক :
চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রমজান মাসে চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মিল মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু মুনাফা আর অর্থই কি সব? আপনারাও মানুষ, আপনাদেরও মরতে হবে একদিন। তাই আসুন মানুষের কল্যাণে কাজ করি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বছরই চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে হবে। এজন্য রমজান মাসে শপথ নিতে হবে, বাকি ১১ মাস নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখার। দেশের উৎপাদন দিয়েই স্বাভাবিক আছে চালের বাজার বলে জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে চালের অভাব নেই। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়। কেউ কৃত্রিম সংকট করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিটিং করা হয় তখন চালের দাম কমে। তারপর আবার বাড়ে। বাড়ার সময় ৫ টাকা বাড়লেও কমার সময় সেভাবে কমে না। ব্যবসায়ীরা এক টাকা কমিয়ে বলে চালের দাম কমেছে। চাল ব্যবসায়ীদের এ প্রবণতা ত্যাগ করা উচিত।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ হতে পারে, বিশ্ব ব্যাংকের এমন ঘোষণার পর অনেকেই অন্যায্যভাবে চালের দাম বাড়িয়েছেন, মজুত করেছেন। সেটা নিয়ন্ত্রণে ওএমএস বাজারে ছাড়তে হয়েছে। সরকার আমদানি করেছিল বলে বিতরণ করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে বাজারে সরবরাহ ও দাম মনিটরিং করে। শুধু রমজান মাসেই নয় এ মনিটরিং সারা বছর চলে এবং চলবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ দেশে ধান চালের ব্যবসা করতে পারবে না। এটা করতে হলে তার ফুড গ্রেইন লাইসেন্স থাকতে হবে। আড়তদারদেরও এ লাইসেন্স থাকতে হবে। এটা নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে। ১৫ দিন পর পর কতটুকু তিনি ক্রয় করেছেন, কতটুকু বিক্রয় করেছেন তার রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এক সময়ের মঙ্গা পীড়িত এলাকা এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত। অনেকেই প্রশ্ন করেন উদ্বৃত্ত হলে আমদানি করেন কেন? আমদানির পথ খোলা থাকলে অবৈধ মজুতকারীরা কারসাজি করতে পারে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ অটো, মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।