Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চালু হলো ফার্মগেটের নতুন ফুটওভার ব্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ফার্মগেটে নির্মাণ করা দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক ফুটওভার ব্রিজ পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি পেয়ে আনন্দিত পথচারীরা। তবে তারা শঙ্কায় আছেন সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজটি আবার না হকারদের দখলে চলে যায়।

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ফুটওভার ব্যবহারকারী পথচারী নিশাত বিজয় বলেন, দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়াতে ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রসস্ত ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে অধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।

আশিক কুণ্ডু নামের এক পথচারী বলেন, ফার্মগেট ব্যস্ততম এলাকা হওয়ায় প্রচুর মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে হকারদের উপদ্রব বেশি। তারা যেন এটি দখলে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

মূলত রাজধানীর এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি পোহাতে হতো। ব্রিজটির নির্মাণকাজ প্রায় তিন মাস আগে শেষ হলেও তা বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে বিলম্ব হয়।

ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঢাকা এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। আর ব্রিজটি প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।

ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের সব দেখতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে। তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’রও সুবিধা রাখা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চালু হলো ফার্মগেটের নতুন ফুটওভার ব্রিজ

প্রকাশের সময় : ০২:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ফার্মগেটে নির্মাণ করা দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক ফুটওভার ব্রিজ পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি পেয়ে আনন্দিত পথচারীরা। তবে তারা শঙ্কায় আছেন সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজটি আবার না হকারদের দখলে চলে যায়।

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ফুটওভার ব্যবহারকারী পথচারী নিশাত বিজয় বলেন, দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়াতে ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রসস্ত ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে অধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।

আশিক কুণ্ডু নামের এক পথচারী বলেন, ফার্মগেট ব্যস্ততম এলাকা হওয়ায় প্রচুর মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে হকারদের উপদ্রব বেশি। তারা যেন এটি দখলে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

মূলত রাজধানীর এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি পোহাতে হতো। ব্রিজটির নির্মাণকাজ প্রায় তিন মাস আগে শেষ হলেও তা বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে বিলম্ব হয়।

ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঢাকা এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। আর ব্রিজটি প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।

ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের সব দেখতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে। তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’রও সুবিধা রাখা হবে।