Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার মাস পর আবারও হিলি স্থলবন্দর সড়কের চার লেনের কাজ শুরু 

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরাদ্দ জটিলতার কারণে কাজ ফেলে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার কারণে চার মাস বন্ধের পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটির চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে এই পথ দিয়ে চলাচল করা সাধারণ মানুষসহ বন্দরের আমদানি-রফতানিকারকদের।

সোমবার (২৭ মার্চ) থেকে আবারও সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিয়ারিং (এনডিই)। এর আগে গত অক্টোবর মাসে চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি, যা আগামী জুন মাসে শেষ করার কথা ছিল। সড়কের পিচঢালা অংশ তুলে ফেলে এবং দুই পাশের স্থাপনা ভেঙে দিয়ে নতুন করে ঢালাই কাজ শুরু করে তারা। দু-এক সপ্তাহ কাজ করার পরেই সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তারপর থেকে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল সড়কের উন্নয়ন কাজ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে শুরু করে পানামা হিলি পোর্টের ৩নং গেট পর্যন্ত ২ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

স্থানীয় এলাকাবাসী ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দরের এটি একটিমাত্র সড়ক। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা থাকায় আমাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এই সড়ক দিয়েই কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটির যে অবস্থা তাতে পায়ে হেঁটে চলাচলের মতো অবস্থাও নেই।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, খানাখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে। রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরুর কিছুদিন পরেই ঠিকাদার পালিয়ে গেছে। বর্তমানে লোড ট্রাকগুলোকে মাটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল রানা বলেন, ‘কিছু জটিলতার কারণে সড়কের কাজ কিছুদিন ধরে বন্ধ ছিল। বর্তমানে আবারও আমরা কাজ শুরু করেছি।’

এ বিষয়ে সড়ক বিভাগ দিনাজপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, ঠিকাদারের আর্থিক সমস্যার কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে হিলি স্থলবন্দরের সড়কের চার লেনে উন্নীত করার কাজ বন্ধ ছিল। তারা আবারও কাজ শুরু করেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সড়কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। কারণ, এখনও সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। যতটুকু জায়গা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ততটুকুই কাজ হবে।

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীসহ সব মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছিল। আবারও সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে, সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে দ্রুত যেন সড়কটির কাজ শেষ করা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

চার মাস পর আবারও হিলি স্থলবন্দর সড়কের চার লেনের কাজ শুরু 

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরাদ্দ জটিলতার কারণে কাজ ফেলে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার কারণে চার মাস বন্ধের পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটির চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে এই পথ দিয়ে চলাচল করা সাধারণ মানুষসহ বন্দরের আমদানি-রফতানিকারকদের।

সোমবার (২৭ মার্চ) থেকে আবারও সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিয়ারিং (এনডিই)। এর আগে গত অক্টোবর মাসে চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি, যা আগামী জুন মাসে শেষ করার কথা ছিল। সড়কের পিচঢালা অংশ তুলে ফেলে এবং দুই পাশের স্থাপনা ভেঙে দিয়ে নতুন করে ঢালাই কাজ শুরু করে তারা। দু-এক সপ্তাহ কাজ করার পরেই সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তারপর থেকে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল সড়কের উন্নয়ন কাজ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে শুরু করে পানামা হিলি পোর্টের ৩নং গেট পর্যন্ত ২ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

স্থানীয় এলাকাবাসী ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দরের এটি একটিমাত্র সড়ক। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা থাকায় আমাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এই সড়ক দিয়েই কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটির যে অবস্থা তাতে পায়ে হেঁটে চলাচলের মতো অবস্থাও নেই।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, খানাখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে। রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরুর কিছুদিন পরেই ঠিকাদার পালিয়ে গেছে। বর্তমানে লোড ট্রাকগুলোকে মাটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল রানা বলেন, ‘কিছু জটিলতার কারণে সড়কের কাজ কিছুদিন ধরে বন্ধ ছিল। বর্তমানে আবারও আমরা কাজ শুরু করেছি।’

এ বিষয়ে সড়ক বিভাগ দিনাজপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, ঠিকাদারের আর্থিক সমস্যার কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে হিলি স্থলবন্দরের সড়কের চার লেনে উন্নীত করার কাজ বন্ধ ছিল। তারা আবারও কাজ শুরু করেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সড়কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। কারণ, এখনও সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। যতটুকু জায়গা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ততটুকুই কাজ হবে।

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীসহ সব মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছিল। আবারও সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে, সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে দ্রুত যেন সড়কটির কাজ শেষ করা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।