আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার ৫ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী আইনি মর্যাদা বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ মার্চ) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লাতিন আমেরিকান দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মার্কিন ইতিহাসের বৃহত্তম প্রত্যাবাসন অভিযান পরিচালনা এবং অভিবাসন রোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরের বছরের জানুয়ারিতে এই প্রকল্পের আওতা আরও সম্পসারিত করেছিল বাইডেন প্রশাসন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার নির্ধারিত ফেডারেল রেজিস্টারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের আদেশ প্রকাশিত হবে। আদেশ প্রকাশের ৩০ দিন পর ওই অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের আইনি অধিকার হারাবেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর ওই অভিবাসীদের আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যেতে হবে। এর ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে অনুমোদিত দুই বছরের ‘প্যারোল’ (সাময়িক প্রবেশাধিকার) প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় স্পনসর থাকা সাপেক্ষে ওই কর্মসূচির আওতায় এসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া লোকজনের সহায়তায় কাজ করা ওয়েলকাম ইউএস নামের একটি সংস্থা নতুন আদেশে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে অভিবাসন-বিষয়ক আইনজীবীর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিউবান, হাইতিয়ান, নিকারাগুয়ান এবং ভেনিজুয়েলানদের (সিএইচএনভি) জন্য বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে লাতিন আমেরিকার চারটি দেশ থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার অভিবাসী দুই বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও বসবাসের অনুমতি পান। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো এই অভিবাসীরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে।
জো বাইডেন জনাকীর্ণ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে ‘‘নিরাপদ এবং মানবিক’’ উপায় হিসাবে ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, এই প্রকল্পটি অস্থায়ী।