Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিলো হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে রেড ক্রস কর্মকর্তাদের কাছে গাজা সিটির প্যালেস্টাইন স্কোয়ারে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এবার ইসরায়েলও আরও ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টার একটু পরে রেডক্রসের হাতে ইসরায়েলি ৪ নারী সেনাকে হস্তান্তর করা হয়।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের দ্বিতীয় দফায় হামাস যে চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে তারা হলেন—লিরি আলবাগ (১৯), দানিয়েলা গিলবোয়া (২০), কারিনা আরিয়েভ (২০) এবং নামা লেভি (২০)।

জিম্মি মুক্তির আগে হামাস ও মিত্র সংগঠন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজি) সদস্যরা গাজা শহরের চত্বরে ব্যাপক শোডাউন করে এই চার ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়।

আল জাজিরার সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ওই এলাকায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদেরও ব্যাপক সমাগম হয়েছে। হামাসের এসব যোদ্ধাদের খোঁজে ইসরায়েল টানা ১৫ মাসব্যাপী নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে হামাস। গোষ্ঠীটির সদস্যদের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোটেও মনোবল হারাননি তারা।

হামাসের প্রকাশ করা তালিকা থেকে জানা যায় মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন কারিনা আরিয়েভ, দানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ। এই চারজনই ইসরায়েলি সেনা, যারা ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে নজরদারির কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলে কারাগারে আটক থাকা ১৮০-২০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এই ৪ জন জিম্মিকে ছেড়ে দিচ্ছে হামাস।

গত রোববার(১৯ জানুয়ারি) কার্যকর হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় ৯০ কারাবন্দী ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েল। বিপরীতে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিলো হামাস

প্রকাশের সময় : ০৫:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে রেড ক্রস কর্মকর্তাদের কাছে গাজা সিটির প্যালেস্টাইন স্কোয়ারে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এবার ইসরায়েলও আরও ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টার একটু পরে রেডক্রসের হাতে ইসরায়েলি ৪ নারী সেনাকে হস্তান্তর করা হয়।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের দ্বিতীয় দফায় হামাস যে চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে তারা হলেন—লিরি আলবাগ (১৯), দানিয়েলা গিলবোয়া (২০), কারিনা আরিয়েভ (২০) এবং নামা লেভি (২০)।

জিম্মি মুক্তির আগে হামাস ও মিত্র সংগঠন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজি) সদস্যরা গাজা শহরের চত্বরে ব্যাপক শোডাউন করে এই চার ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়।

আল জাজিরার সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ওই এলাকায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদেরও ব্যাপক সমাগম হয়েছে। হামাসের এসব যোদ্ধাদের খোঁজে ইসরায়েল টানা ১৫ মাসব্যাপী নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে হামাস। গোষ্ঠীটির সদস্যদের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোটেও মনোবল হারাননি তারা।

হামাসের প্রকাশ করা তালিকা থেকে জানা যায় মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন কারিনা আরিয়েভ, দানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ। এই চারজনই ইসরায়েলি সেনা, যারা ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে নজরদারির কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলে কারাগারে আটক থাকা ১৮০-২০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এই ৪ জন জিম্মিকে ছেড়ে দিচ্ছে হামাস।

গত রোববার(১৯ জানুয়ারি) কার্যকর হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় ৯০ কারাবন্দী ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েল। বিপরীতে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।