Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন, রিকশাচালক সালাম মন্ডল (৫৫), তার স্ত্রী গার্মেন্টকর্মী বুলবুলি বেগম (৪৫), ছেলে মো. টুটুল (২৫), মেয়ে সনিয়া আক্তার (২২) ও নাতনী মেহেজাবিন (৭)।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সোহাগ জানান, তাদের বাসা ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে বাসার সবার শরীরে আগুন দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, তাদের মধ্যে মো. সালাম মন্ডলের ৭০ শতাংশ, বুলবুলির ২৫ শতাংশ, সোনিয়ার ৪২ শতাংশ, টুটুলের ৬০ শতাংশ ও শিশু মেহজাবিনের ৩৫ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থা প্রায় আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

দগ্ধ ওই পরিবারটির গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলায়।

ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে পাঁচজনকে দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন, রিকশাচালক সালাম মন্ডল (৫৫), তার স্ত্রী গার্মেন্টকর্মী বুলবুলি বেগম (৪৫), ছেলে মো. টুটুল (২৫), মেয়ে সনিয়া আক্তার (২২) ও নাতনী মেহেজাবিন (৭)।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সোহাগ জানান, তাদের বাসা ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে বাসার সবার শরীরে আগুন দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, তাদের মধ্যে মো. সালাম মন্ডলের ৭০ শতাংশ, বুলবুলির ২৫ শতাংশ, সোনিয়ার ৪২ শতাংশ, টুটুলের ৬০ শতাংশ ও শিশু মেহজাবিনের ৩৫ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থা প্রায় আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

দগ্ধ ওই পরিবারটির গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলায়।

ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে পাঁচজনকে দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।